ফাইবারে কাজ করার উপায় জেনে নিন
এখানে কাজ করার কিছু পদ্ধতি যদি আপনি জেনে থাকেন এবং যদি আপনার একটি একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে আপনি এখানে থেকে ভালো মানের ইনকাম করতে পারেন। ফাইবারে অর্থ আয় করতে হলে অবশ্যই আপনাকে দক্ষ হয়ে আসবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ ফাইবারে কাজ করার উপায়
- ফাইবারে কাজ করার উপায়
- প্রথমে আমরা জানবো ফাইবার কি
- ফাইবারের কাজ কি
- ফাইবারে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি
- ফাইবারে গিগ তৈরির পদ্ধতি
- মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ
- ফাইবারেএকাউন্ট খোলার নিয়ম
- শেষ কথা: ফাইবারে কাজ করার উপায়
ফাইবারে কাজ করার উপায়
- আপনার গিগের থাম্বেল টা সাজানো ঠিক আছে কিনা এবং তা কতটা যুগোপযোগী তা যাচাই করে নিন ভালো করে।
- আপনার যদি সম্ভব হয় তাহলে অবশ্যই গিগের কিছু ভিডিও তৈরি করুন। আপনি যদি গিগে ভিডিও তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনার কাজ পাওয়া সম্ভবনা অনেক বেশি থাকবে কারণ যারা গিগে ভিডিও তৈরি করে তাদের কাজ পাওয়া তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। ভিডিও বানানোর সময় একটা জিনিস ভালো করে খেয়াল রাখবেন আপনি যে ভিডিওতে কাজের ধরন গুলো দেখাচ্ছেন সেটা যেন ভালো ধারণা দেয় এবং মান ভালো হয়।
- আপনি গিগে যে টাইটেল দিয়েছেন তা আপনার ক্রেতাকে আকৃষ্ট করছে কিনা সে বিষয়ে ভালোভাবে যাচাই করে নিন।
- আপনি যে ধরনের সেবা দিচ্ছেন তার প্রতিযোগিতা কেমন। প্রতিযোগিতা অনুযায়ী আপনার সেবাকে সাজাতে পেরেছেন কিনা দেখুন। আপনার চেয়ে যারা ভালো করছে তাদের গিগ সাজানো আর আপনার কি সাজানোর মধ্যে পার্থক্য কেমন। ভালো করে যাচাই করুন এবং নিজের ভুলকে সংশোধন করুন।
- কাজ পাবার জন্য ক্রেতাকে বারবার রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে চেষ্টা করুন। বাংলা এবং ইংরেজি লেখালেখির ক্ষেত্রে বানানের দিকে খেয়াল রাখবেন।
- ফাইবারের কিছু নিজস্ব নীতিমালা রয়েছে এই ধরন এডুকেশন সেন্টার ও ফোরাম। আপনি চাইলে এখান থেকে আপনার কাজে ধরন অনুযায়ী দেখে নিতে পারেন।
প্রথমে আমরা জানবো ফাইবার কি
প্রথমে আমরা জানবো ফাইবার কি এ সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমেই আমাদের জানতে হবে ফাইবার হলো একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে আমরা আমাদের ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কাজ উপস্থাপন করতে পারি। এই মার্কেটপ্লেসে ইচ্ছা করলে আপনি অনেক কাজ পেতে পারবেন এবং ইচ্ছা মত আনলিমিটেড ডলার আয় করতে পারবেন। এই প্ল্যাটফর্মে অনেক ধরনের কাজ হয়ে থাকে এই ধরুন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গেমস ডেভেলপমেন্ট,
- ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন। এই কাজগুলোর মধ্যে কোন একটি কাজে যদি আপনি নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে আপনি ঘরে বসে আনলিমিটেড আয় করতে পারবেন। আপনি হয়তো ফ্রিল্যান্সার হওয়ার কথা ভাবছেন তাই আজ এই ব্লকটি পড়তে এসেছেন এবং জানতে এসেছেন। আপনার জেনে রাখা উচিত বর্তমানে আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠিত ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা প্রচুর। সেসব ফ্রিল্যান্সাররা তারা তাদের কাজের
- উপর দক্ষতা অর্জন করে বেকার মুক্ত দেশ গড়ছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। অনলাইন থেকে আয় করার জন্য এমন আরও অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। কিন্তু একটি সুখ্য পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বাংলাদেশে অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠিত ফ্রিল্যান্সার হয়েছে তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ আয়ের মাধ্যম হিসেবে দেখা গেছে এই জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ফাইবার কে। এক কথায় বলা যায় ফাইবার একটি অভিনব ওয়েবসাইট যেখানে আপনি বিভিন্ন
- ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করে বেচাকেনা করতে পারেন। এখানে যারা আপনার সার্ভিস কিনবেন তাদের বলা হয় বায়ার আর যে সার্ভিস সেল করবে তাকে বলা হয় সেলার। অর্থাৎ আপনি যদি এখানে সেলার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করেন তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট সেল করতে পারবেন এবং এখান থেকে বড় এমাউন্টের অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।তাহলে অবশ্যই আপনাকে যেকোনো একটি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে তাই না।
- আপনি যদি দক্ষ না হয়ে কাজ করার চেষ্টা করেন তাহলে আপনি ব্যর্থ হবেন এবং আপনার মন ভেঙে যাবে আপনি কোন অর্থ আয় করতে সক্ষম হবেন না। আশা করছি ওপরের আলোচনা থেকে আপনি বুঝতে পেরেছেন ফাইবার কি? আপনি যখন ফাইবার সম্পর্কে জেনেছেন ফাইবার কি তাহলে এবার আপনাকে জানতে হবে ফাইবারে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
ফাইবারের কাজ কি
ফাইবারে কাজ করার উপায় আপনারা সবাই তো জানেন ফাইবার হলো একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস সাইট পুরো বিশ্ব জুড়ে জনপ্রিয় তাই এটিকে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস ও বলা হয়।ফাইবারের মার্কেটপ্লেসে আপনি বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস নিয়ে কাজ করতে পারবেন এবং সেল করতে পারবেন। যে ধরনের সার্ভিস আপনি সেল করতে পারবেন তা হলো লোগো ডিজাইন করে, ওয়েবসাইট বানিয়ে, কন্টেন রাইটিং করে, ভিডিও এডিটিং করে,
ডিজিটাল মার্কেটিং করে এছাড়া ব্যানার তৈরি করেও আপনি ফাইবারে সার্ভিস সেল করতে পারবেন। উপরের দেওয়া কাজগুলোর ওপর নিজেকে দক্ষ করে তুলুন যেকোনো একটি বিষয়ের উপর। আপনি চাইলেই ফাইবারে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে এই ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আপনার ফ্রি সময়কে কাজে লাগিয়ে নিজেকে করে তুলুন দক্ষ এবং সফল ব্যক্তি বা সফল ফ্রিল্যান্সার। ফাইবার ছাড়া অনলাইনে আরো অনেক
আরো পড়ুনঃ অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা
ধরনের মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে আপনি নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারলে বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন তবে অন্যান্য মার্কেটপ্লেস এর থেকে ফাইবারে কাজ করা অনেক সহজ।
ফাইবারে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি
ফাইবারে কাজ পাওয়ার উপায় ফাইবারে কাজের চাহিদা সব সময় থাকে। শুধু কাজের ধরন অনুযায়ী নিজেদের তা খুঁজে নিতে হয়। ফাইবারের কাজ পেতে হলে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। ফাইবারে এমন কিছু কাজ আছে যার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এই ধরুন ব্লক তৈরি, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, বিভিন্ন ওয়েবসাইটের জন্য ব্যানার তৈরি, লোগো ডিজাইন, ডাটা এন্টির কাজ, আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদি কাজের প্রচুর চাহিদা।
ডিজিটাল মার্কেটিং
বর্তমানে ফাইবারে প্রচুর চাহিদা ডিজিটাল মার্কেটিং এর। ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে কি বুঝেন ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে বোঝায় প্রচার-প্রচারণার কাজ। আপনি যদি অনলাইনে কোন সার্ভিস বা পণ্যের বিজ্ঞাপন নিয়ে প্রচার-প্রচারণার কাজ করেন মূলত তাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়। যদি কোন ফোনের প্রচার-প্রচারণা অফলাইনে করতে চান তাহলে আপনার মাধ্যম গুলো কেমন হতে পারে একটু ভেবে দেখুন? আপনি যদি অফলাইনে মার্কেটিং
করতে চান তার জন্য আপনি প্রথমে কি করবেন এই ধরন পোস্টার লেখালেখি, ব্যানার তৈরি করা, মাইকিং করা, লিফলেট বিতরণ করা ইত্যাদি। আপনি যদি অনলাইনে মার্কেটিং করতে চান কিছু বিশেষ উপায় রয়েছে। যেমন ধরুন-
- এসইও এর মাধ্যমে মার্কেটিং
- কন্টেন রাইটিং এর মাধ্যমে মার্কেটিং
- অ্যাড ম্যানেজারের মনিটরিং এর মাধ্যমেও মার্কেটিং করতে পারেন
- আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও মার্কেটিং করতে পারেন
- এছাড়া সিপিএ মার্কেটিং তো রয়েছে
এছাড়া আরও বেশ কিছু কাজকে বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং। আপনি যদি ফাইবারে কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই একটি প্রতিষ্ঠিত আইটি থেকে কোর্স সম্পন্ন করুন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর ফাইবার মার্কেটপ্লেসে প্রচুর কাজ রয়েছে যা আপনি অনায়াসে করতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন
গ্রাফিক্স ডিজাইন বলতে বোঝায় কোন তথ্যকে আপনার মনের মত করে সাজিয়ে কাজে লাগানো যেমন ধরুন রং, সেইফ, রেখার মাধ্যমে যেটা প্রকাশ করা হয়। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের প্রচুর চাহিদা যে কাজ করে আপনি খুব সহজে ফাইবারের মতো জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেসে কাজ পেতে পারেন। গ্রাফিক্স সেক্টরে আপনার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। যেমন ধরুন -
- লোগো ডিজাইন এর কাজ করতে পারেন
- ব্যানার ডিজাইন করতে পারেন
- এছাড়া বিজনেস কার্ড ডিজাইনের ও কাজ রয়েছে
- এখানে আপনি প্যাকেজিং ডিজাইনের কাজ পাবেন
- এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির টি-শার্টের ডিজাইন করা যায় এই মার্কেটপ্লেসে
এসব কাজে অনায়াসে আপনি দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা পণ্য কাজ হল প্যাকেজিং ডিজাইন। এই কাজের ওপর নিজেকে দক্ষতা করে তুলুন আপনি প্রচুর অর্থ আয় করতে পারবেন।উপরে দেখানো দুইটি কাজের উপর যদি আপনি দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনি ভালো মানের একটি অর্থ পেতে পারেন এই কাজে দক্ষতা অর্জনের জন্য আপনার খুব একটা বেশি সময় লাগবেনা।
আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে তিন মাস লেগে থাকেন তাহলে আপনার সফলতা, কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করেতে সক্ষম হবেন। ওপরে দেখানো দুটি কাজে ফাইবারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এখন তো আপনার কোন কাজের ওপর নিজেকে দক্ষ করে তুলবেন এবং এই প্রতিযোগিতায় নিজেকে সফল করবেন এখনই অংশগ্রহণ করুন। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হতে চান আপনার দক্ষতার পাশাপাশি একটি জিনি সের প্রয়োজন পড়বে তা হল আপনার পরিশ্রম এবং ধৈর্য।
ফাইবারে গিগ তৈরির পদ্ধতি
ফাইবারে কাজ পাওয়ার উপায় এতক্ষণ তো আমরা ফাইবারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বললাম এই ধরুন ফাইবার কি, এর কাজ কি, এ কাজের চাহিদা কেমন ইত্যাদি সম্পর্কে জানলাম এবার আমরা ফাইবারে গিগ তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে জানব। গিগ সম্পর্কে জানার আগে আমরা এর অর্থ জেনে আসি চলো গিগ শব্দের অর্থ হল অফার। আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার আপনার সার্ভিস বিক্রি করার জন্য আপনি কি কি সুবিধা প্রদান করবেন সে সম্পর্কে
একটি পেজে বর্ণনা করার মাধ্যমে উপস্থাপন করাকে গিগ বলে। ফাইবারে একজন ফ্রিল্যান্সার সেলার হিসেবে যেসব কাজ করে থাকে তার কি কি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবেন কি সব বিষয়ে খুটিনাটি বর্ণনা করে যে অফার তৈরি করেন তাকে গিগ বলা হয়।ফ্রিল্যান্সিংকে অনেকেই বলে থাকে আউটসোর্সিং পেশা। বেকারত্ব দূর করার জন্য অনেক যুবকরা বেছে নিয়েছে এই মুক্ত পেশাকে। ঘরে বসেই বিদেশি ডলার আয় করছেন এই মুক্ত পেশাজীবীরা
বিদেশের নানা ধরনের তথ্য প্রযুক্তির কাজ করে। আসলে ফ্রিল্যান্সার হতে কি কি প্রয়োজন কিভাবে হবে সে ফ্রীল্যান্সর এ নিয়ে অনেকের মনে অনেক ধরনের দ্বিধা ও প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য অনেকেই সঠিক দিকনির্দেশনা না পাওয়ার কারণে হতে পারেন না এবং ফ্রীল্যানসিং করার ইচ্ছা আছে, এমন পাঠকদের জন্য শুরু করছি আজকের লেখাটি ওভারভিউ বিভাগে গিয়ে প্রথমে আপনাকে একটি গিগের জন্য শিরোনাম দিতে হবে।
ফাইবারে গিগের শুরু হয় সাধারণত I will শব্দটি দিয়ে। আপনি যদি লোগো ডিজাইনার করে থাকেন তাহলে সাজাতে হবে এমন করে 'I will Design logo For Company ' I will শব্দটির সাথে সামঞ্জস্য থাকবে এমন বাক্য দিয়ে। এরপর যা করবেন গিগের বিভাগ ও উপরিভাগ নির্বাচন করবেন। গিগের মেটাডেটা বিভাগে গিয়ে সঙ্গতি রেখে অপশনগুলো নির্বাচন করুন। আপনার জিগের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ আছে এমন ৬ টা ট্যাগ নির্বাচন করে দিতে হবে।
আপনি যে ধরনের গিগ তৈরি করতে চান, এমনকি অনেকেই তৈরি করেছে তাদের দেওয়ার ট্যাগ এগুলোকে ফলো করে আপনি একটা ধারণা নিতে পারেন। একটা কথা সব সময় মনে রাখবেন আপনি যেকোন বিষয়ে ধারণা নিতে পারবেন কিন্তু তাদের কখনোই কপি করতে পারবে না এক্ষেত্রে আপনার অনেক বড় ধরনের সমস্যা হয়ে যেতে পারে এমনকি আপনার একাউন্ট ও বাতিল হয়ে যেতে পারে আপনি যদি অংশটি শেষ করে থাকেন তাহলে
সেভ করে কন্টিনিউ অপশনে গিয়ে ক্লিক করুন।প্রাইজ বিভাগে গিয়ে প্রথমে আপনাকে যেটা করতে হবে তা হলো গিগের একটি প্যাকেজ তৈরি করতে হবে, অর্থাৎ আপনি যে সেবাটি প্রদান করবেন তার আলাদা তিনটি প্যাকেজ তৈরি করবেন। আপনি চাইলে একটি প্যাকেজও তৈরি করতে পারেন তবে গিগের জন্য যদি তিনটি প্যাকেজ রাখতে পারেন সে ক্ষেত্রে অনেক ভালো হবে। প্যাকেজ তৈরি হয়ে গেলে সেগুলোর নাম, আপনি ক্লাইন্টকে কি
ধরনের সেবা প্রদান করবেন, তা ব্যাখ্যা করার পাশাপাশি আপনাকে জানাতে হবে কোন প্যাকেজে জন্য আপনি কতদিন সময় নিবেন। ফাইবারে প্রতিটি প্যাকেজ এর জন্য নিচে বেশ কিছু অপশন দেখাবে। প্যাকেজের সাথে সম্পর্ক আছে এমন বিষয়গুলোকে নির্বাচন করতে হবে। একটি প্যাকেজের জন্য আপনি কত টাকা করে নিতে চান তাও আপনাকে উল্লেখ করতে হবে। আপনি চাইলে ক্লাইন্টকে খুশি করার জন্য প্যাকেজগুলোর সঙ্গে অতিরিক্ত সেবা প্রদান করতে পারেন।
এর জন্য আপনাকে এক্সট্রা সার্ভিস অপশনে গিয়ে সেবাগুলোর নাম লিখে সেভ করে কন্টিনিউ অপশনে ক্লিক করতে হবে।ডেসক্রিপশন এ গিয়ে আপনার তৈরি গিগটির ওপর বিস্তারিত তথ্য লিখতে হবে। সার্ভিসটি মূলত কোন কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে, আপনার সার্ভিস কেনার পর ক্লায়েন্ট কোন ধরনের সহায়তা পাবেন বিক্রয়তোর সেবার সময় বা পরিধি কতদিন অবশ্যই জানাবেন। আপনার গিগের মত গিগ যারা তৈরি করেন তাদের
দেওয়া তথ্যগুলো ফলো করতে পারেন। আপনার গিগ বিষয়ে ক্লায়েন্টরা যে ধরনের প্রশ্ন করতে পারে এগুলোর উত্তর লিখে রাখার চেষ্টা করবেন। আপনি চাইলে সর্বোচ্চ ১০ টি প্রশ্নের উত্তর এখানে যুক্ত করতে পারেন। রিকোয়ারমেন্ট বিভাগে আপনি যদি গিগ অর্ডার করেন তাহলে আপনার যে ধরনের তথ্য দরকার হবে, তা বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হবে। কোন ক্লায়েন্ট যদি গিগ কেনেন ওয়েব ডিজাইন করার জন্য আপনাকে তার ওয়েবসাইটের
আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব?
ডোমেন এবং হোস্টিং এর সম্পর্কে তথ্য এবং প্রয়োজনীয় ছবি পাঠাতে হবে। এ সকল তথ্য ব্যতীত আপনি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন না। আপনি যদি রিকোয়ারমেন্ট বিভাগে বিষয়গুলো আগেই উল্লেখ করে দেন তাহলে ক্লাইন্টরা যদি তা দিতে রাজি না হয় সে ক্ষেত্রে আপনি গিগ অর্ডার করতে পারবেন না।ইমেজ গ্যালারি বিভাগে আপনাকে যেটি করতে হবে তা হল একটি সামাজসো পণ্য ভিডিও এবং
তিনটি ছবি যুক্ত করে রাখতে হবে। ছবি এবং ভিডিও গুলো এমন ভাবে রাখতে হবে যাতে করে ক্লাইন্টরা দেখে আপনার সেবা সম্পর্কে খুব ভালো একটি ধারণা পেতে পারে। ছবিতে গিগের বিশেষ তথ্যগুলো বিশেষ আকারে লিখবেন এবং পাশাপাশি ছবি এবং আইকন ব্যবহার করবেন। গিগ ইমেজ এর গুরুত্ব অপরিসীম তাই চেষ্টা করবেন গিগের ছবিগুলো যেন ভালো মানের হয়। গিগে উন্নত মানের ইমেজ বানানোর জন্য আপনি চাইলেই নীতিমালা অনুযায়ী বানাতে পারেন।
গ্যালারি বিভাগের নিচে পিডিএফ ডকুমেন্ট যুক্ত করতে পারবেন দুটি আপনি চাইলে বিভিন্ন কাজ নিয়ে ডকুমেন্ট বানিয়ে পিডিএফ ফরমেটে যুক্ত করতে পারবেন। যা আপনার পেশার জন্য পোর্টফলিও হিসেবে কাজ করবে। যদি আপনি ঠিকঠাকভাবে সবকিছু করে উঠতে পারেন তাহলে আপনার গিগটি পাবলিস্ট হয়ে যাবে এবং সবশেষে ফাইবার আপনাকে গিগটির একটি লিঙ্ক দেবে। আপনি চাইলে দেখতে পারবেন কতজন
ক্লায়েন্ট আপনার গিগে কি করছে এবং ক্লাইন্টের মতামত সম্পর্কে জানতে পারবেন। একাউন্ট সচল হওয়ার শেষ ধাপে আপনাকে একটি ট্যাক্স ফর্ম চাইতে পারে ফাইবার। তবে চিন্তা করবেন না আপনি যুক্তরাজ্যের বা যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসী নন তাই অপশনটি নির্বাচন করে সেভ করে দিবেন তাহলে ট্যাক্স ফর্মে কোন তথ্য দেওয়া লাগবে না।
মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ
ফাইবারে কাজ করার উপায় মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজে ফ্রিল্যান্সিং থেকে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার একটি শর্টওয়ে হল রিলস বা শর্ট ভিডিও। এখান থেকে মিনিমাম আপনি যদি রেগুলার কাজ পেতে থাকেন এবং করার ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন তাহলে অ্যারাউন্ড ২০ থেকে ৪০ হাজার বা তার চেয়েও বেশি ইনকাম করা সম্ভব। ২০২৪ সালের যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে সবার আগে আমি বলব আপনার উচিত হবে একটি
কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে শুরু করার। আর যদি এমন হয় আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কেনার সামর্থ্য নেই সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার হাতে থাকা ডিভাইসটি দিয়ে করতে চাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে আপনি যেভাবে করতে পারবেন। এই ধরন আপনারা যেমন google এ বা youtube এ সার্চ করেন সেখান থেকে বেশিরভাগ যে ভিডিও গুলো আছে সেখানকার বেশিরভাগই এক একটি SCAM সেগুলো দিয়ে আপনি কখনোই ইনকাম করতে পারবেন না
তাতে হয়তো আপনার আরো টাকা লস হবে চারটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব এই চারটি ওয়ে দিয়ে আপনি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন যদি আপনি কাজটি ভালো করে শিখেন এবং করতে পারেন। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যেসব স্কিল সম্পর্কে আজ আমরা আলোচনা করব তা হল। এর মধ্যে একটিও যদি আপনি শিখে কাজ করতে পারেন তাতে আপনার কোন কোর্স করতে হবে না এক টাকাও খরচা হবে না
আপনি ফ্রি ওয়েতে করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এই চারটি বিষয়ের মধ্যে যে কোন একটি বিষয়ে যদি আপনি শিখতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার কোন কোর্স ফ্রি লাগবে না সেটা লাগবে শুধুমাত্র আপনার ধৈর্য এবং পরিশ্রম। আপনাকে প্রথম যে স্কিল সম্পর্কে আমরা জানাবো তাহলে instagram স্কিল। আপনি যদি instagram স্কিল শেখেন সেটা আপনি মোবাইল দিয়েই শিখতে পারেন। ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং করতে সব থেকে বেশি সময় দিতে
হয় মোবাইলে instagram মার্কেটিং কি এটা কিভাবে কাজ করে এর অর্গানিক ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং আসলে কি এসব সম্পর্কে ধারণা যদি আপনি জানতে চান তাহলে ইউটিউবে যে কোন ইউটিউব ভিডিওতে প্লে করবেন তাহলে আপনি খুব ভালো মানের ধারণা পেতে পারবেন। আপনার যদি একটি পোর্টফোলিও ইনস্টাগ্রাম থেকে থাকে তাহলে আপনি সেখান থেকে বিভিন্ন টিপস আদান প্রদান করেও আয় করতে পারবেন।
তো আপনি যদি instagram থেকেও ভালো কাজ পেতে চান তাহলে আপনাকে অর্গানিক REACH আনতে হবে। Then আপনি প্রথমে যেটা করবেন ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং নিয়ে খুব ভালো করে রিসার্চ করবেন এবং একটি ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল ক্রিয়েট করবেন সেখান থেকে আপনি মার্কেটপ্লেস এ কাজ করবেন এবং আস্তে আস্তে গ্রো করবেন। এমন নয় যে আপনাকে আপওয়্যার্ক বা ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খুলে কাজ করতে হবে আপনি instagram থেকে একাউন্ট খুলে নিজের প্রোফাইল কে গ্রো করতে পারবেন।
ফাইবারে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার নতুন গোপন অস্ত্র হবে গিগ মার্কেটিং। আপনি যত ভালো করে গিগ মার্কেটিং করতে পারবেন প্রমোট করতে পারবেন বায়ারের রিকোয়েস্ট আনতে পারবেন তত বেশি অর্ডার করতে পাবেন। সেজন্য আপনাকে গিগ মার্কেটিং এর ওপর বেশি মনোযোগ দিতে হবে। আপনি যদি ফাইবারকে সঠিক পদ্ধতি অনুযায়ী কাজে লাগাতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে আপনি প্রত্যেক মাসে খুব ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন।
তবে আমরা এখানে যে কারণে সফল হতে পারি না তাহলে সঠিক দিক নির্দেশনা।আপনি যদি মোবাইলে এডিটিং বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে থাকেন তাহলে অবশ্যই এক্সপার্ট হিসেবে ফাইবারে গিয়ে ইনকাম করতে পারেন। ফাইবারে কাজ করার জন্য প্রথমেই আপনার যেটা থাকতে হবে সেটি হল একটি উপযুক্ত মোবাইল ফোন যেটি দ্বারা আপনি একটি ফটো এডিটিং অ্যাপ রাখতে পারবেন। ফটো এডিটিং এর জন্য আপনি যে সকল অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন আপনার স্মার্টফোনে তা হল - Snapseed, Canva এবং Lightroom এ ধরনের অ্যাপস গুলো আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
ফাইবারে একাউন্ট খোলার নিয়ম
ফাইবারে কাজ করার উপায় জানতে হলে অবশ্যই ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম আপনাকে জানতে হবে। এখন আমরা জেনে আসি ফাইবারে অ্যাকাউন্ট কিভাবে খুলতে হবে। ফাইবার অ্যাকাউন্ট খুলতে এখন কিন্তু অনেক আপডেট বিষয়গুলো যোগ হয়েছে যেগুলো। সম্পর্কে আপনাকে আগে জানতে হবে। এসে প্রথমে একটি নতুন ট্যাব ওপেন করুন এবং ফাইবার লিখে সেখানে প্রবেশ করুন। ফাইবারের প্রবেশ করার জন্য প্রথমে
আপনাকে Become a Seller নামক ওখানে গিয়ে আমরা অ্যাকাউন্ট যাচাই করে নিবো এখানে ক্লিক করে এখানে আমাদের একটা উইন্ডো দিবে আমরা পুরোপুরি ভাবে কাজ করার জন্য একটু ওয়েট করব কিবোর্ড থেকে scap বাটনে প্রেস করুন অথবা বাইরে ক্লিক করুন একটা। এখানে যে সবুজ অংশটা দেখা যাচ্ছে become seller এখানে আমরা ক্লিক করব যারা প্রোফাইলে এভাবে কাজ করার পরেও প্রোফাইল ক্রিয়েট করতে পারছে না
কাজ করতে পারছেন না তারা অবশ্যই এগুলো ফলো করুন তাহলে আপনারা ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খুলে কাজ শুরু করতে পারবেন। এবার এখানে একটা ইমেইল এড্রেস এড করুন ইমেইল এড্রেসটা অবশ্যই সতর্কতা স্বরূপ দিয়ে থাকবেন কারণ এমন কোন ইমেইল এড্রেস ফাইবারের যোগ করবেন না যে এড্রেস কোথাও আপনি দিয়ে রেখেছেন এমন ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করুন যা আপনি কোথাও ব্যবহার করেননি শুধুমাত্র ফাইবারে কাজের
ক্ষেত্রে ব্যবহার করবেন। ইমেলটা প্রস্টিউট করে দেওয়ার পর continue চাপ দিন এরপর এখানে একটি ইউজারনেম যোগ করুন নামটা অবশ্যই সতর্কতার সাথে দিবেন ইউজার নেমটা এমন ভাবে দিবেন যাতে করে আপনার সার্ভিস নেমটা ফুটে আসে । এখানে পাসওয়ার্ড টা দিবেন খুবই ইউনিক এবং স্ট্রং পাসওয়ার্ড। এরপর নেক্সট এ ক্লিক করুন এবার ব্রাউজারে পাসওয়ার্ডটা সেভ দিয়ে দেন এবার আপনি mail a চলে যান ইমেইলে আপনাকে ফাইবার একটি ইমেইল দিবে may be fiverr আপনাকে একটি কনফার্মেশন মেসেজ দিয়েছে আপনার একাউন্টে এপ্রুভ হয়ে গেছে।
শেষ কথা: ফাইবারে কাজ করার উপায়
ফাইবারে কাজ করার উপায় সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই জানলাম। আমার জানা এবং অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের ফাইবার সম্পর্কে অনেক কিছু জানানোর চেষ্টা করেছি আশা করছি আমার লেখা আর্টিকেলে ফাইবার সম্পর্কে বেশ কিছু ধারণা দেওয়া হয়েছে এই ধারণাগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার জার্নির পথকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। আপনার ফ্রিল্যান্সার হওয়ার পথ হোক সফলময়। ফাইবারে কাজ করার সময়
একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন মোবাইল দিয়ে সেটা না করে চেষ্টা করবেন ভালো মানের পিসি বা ল্যাপটপ দ্বারা কাজ করার। মোবাইল দ্বারা যদি আপনি ফাইবারে কাজ করতে চান তা শুধু কাজই হবে কোন আয় পাওয়া সম্ভব হবে না। আশা করছি আমার সাজেশনটি ভালো ভাবে নিবেন। আমার লেখা আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমার পেজটিকে শেয়ার করবেন এবং ফলো করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url