কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন। কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিতে চাচ্ছেন। তাহলে আসুন আজকের আর্টিকেলটি পড়ে জেনে নেওয়া যাক কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। কালোজিরা
খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন কিছু অপকারিতা রয়েছে। কালোজিরা একটি মহা ঔষধ রূপে পরিচিত লাভ করেছে। ইসলামিক সুন্নাহ মতে বলা হয়েছে বা আল কোরআনে বলা হয়েছে মৃত্যু ব্যতীত সমস্ত রোগের মহা ওষুধ হল কালোজিরা।
আরো পড়ুনঃ পাতি লেবু খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
পেজ সূচিপত্রঃ কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- সকালে খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
- কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়
- রাতে কালোজিরা খেলে কি হয়
- কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
- কালোজিরা তেল
- টানা সাত দিন কালোজিরা খেলে কি হয়
- কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত সমস্ত রোগের মহা ঔষধ
- উপসংহারঃ কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানার আগে আমাদের তো জানতে হবে আসলে কালোজিরা টা কি? এটি একটি সরিষা দানার মত দেখতে হালকা, লম্বা, চ্যাপ্টা। কালোজিরা দেখতে কুচকুচে কালো রঙের হয়। কালোজিরা আমরা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে থাকি। আমরা যদিও সব ধরনের রান্নায় কালোজিরা ব্যবহার করে থাকি না। কিন্তু আমাদের উচিত কালোজিরাকে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখা। আপনারা যদিও জেনে থাকেন কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। প্রতিদিন চেষ্টা করবেন কালোজিরা খাওয়ার।
সকালে খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানার আগে আমাদের উপকারিতা গুলো সবার আগে জানতে হবে। চলুন আমরা জেনে আসি সকালে খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
- আপনি যদি খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন তাহলে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা কমবে।
- খালিপেটে কালোজিরা খেলে আপনার ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে।
- খালি পেটে কালো জিরা খেলে আপনার ওজন কমবে ও স্বাভাবিক ওজন থাকবে।
- আপনার হজম প্রক্রিয়াকে শক্তি বৃদ্ধি করবে কালোজিরা।
- আপনার চুলের জন্য কালোজিরা খুব উপকারী।
- ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগকে প্রতিরোধ করতে পারে কালোজিরা।
- আপনার শ্বাসতন্ত্রের যাবতীয় সমস্যা সমাধান করবে কালোজিরা।
- কালোজিরা খেলে আপনার মানসিক চাপ কমবে তাছাড়া উদ্বেগও কমাবে।
- কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।
- কালোজিরার ক্ষতিকর দিক বা কালোজিরার অপকারিতা
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা কালোজিরা এমন একটি উপকারী যার পরিচিতি পুরো বিশ্ব জুড়ে। আপনারা অনেকেই কালোজিরা কে চেনেন কালোজিরা সাথে পরিচিত কালোজিরা বিভিন্ন রান্নার মধ্যে দিয়ে আমরা খেয়ে থাকি। কিন্তু আপনারা কি জানেন কালো জিরা চিবিয়ে খেলে কি হয়? কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার মধ্যে অনেক উপকার রয়েছে আপনারা অনেকে এর উপকারিতা সম্পর্কে জানেন তবুও আপনাদের আরো একবার বিস্তারিতভাবে জানানোর জন্য তথ্যগুলো বলছি।
হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করেঃ কালোজিরা জিরায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা হজম প্রক্রিয়াকে অতি দ্রুত শক্তিশালী করে। কালোজিরা থাকা ফাইভার পানি শোষণ করতে সাহায্য করে। যা আপনার পরিপাকতন্ত্রের প্রক্রিয়াকে সহজ করে দেয়। আপনি যদি প্রতিদিন নিয়ম করে কালোজিরা খেতে পারেন তাহলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। গ্যাসের সমস্যা দূর হবে, হজম প্রক্রিয়ার যত সমস্যা আছে তা দূর হয়ে যায়।এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান
আরো পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
আপনার হজম প্রক্রিয়ার ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতিকর বিরুদ্ধে আপনার শরীরকে রক্ষা করবে এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট গুলির প্রতিরোধ করে আপনার হজমতন্ত্রকে স্বাস্থ্যকর রাখে। কালোজিরা হজমের এনজাইমকে ঠিক রাখে যা খাবারকে ভাঙতে এবং এতে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো শোষণের সাহায্য করে। চর্বি হজম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এছাড়া বিভিন্ন ধরনের রোগ সমূহ যেমন আলসার, এটি এমন প্রদাহ কম করে এবং কোলাইটিসের মতো প্রদাহ জনিত রোগ ভালো করার জন্য কালোজিরা বেশ উপকারী।
কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করেঃ কালোজিরাতে রয়েছে টাইমঅ্যাক্সিডেন্ট নামক একটি যোগপদার্থ থাকে যা আপনার শরীরের এলডিএল আপনার শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং এইচডিএল ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা কালোজিরা নিয়মিত সেবন করছে তাদের ভেতরে বিশেষভাবে কমছে কালোজিরা খাওয়ার কারণে। আপনার শরীরে যেমন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমছে তেমনি হৃদ রোগের ঝুঁকি কমছে।
ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ কালোজিরায় আছে বিশেষ অ্যান্টি ডায়াবেটিক উপাদান। যা আপনার রক্তে মিশে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে কালোজিরা নিয়মিত খাবার কারণে রক্তে শর্করা মাত্রা কমে গেছে। এটি যদি নিয়মিত খেতে থাকেন তাহলে দেখা যাবে আপনার রক্তে ইনসুলিন ব্যবহারের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। যা আপনার রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ কালোজিরা স্মৃতির শক্তি বৃদ্ধির জন্য খুব কার্যকরি এটি আমাদের মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। কালোজিরা মস্তিষ্কের মাত্রা কমায় যার ফলস্বরূপ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় মস্তিষ্কের যত রকম ক্ষতিকর কোষ রয়েছে তা থেকে রক্ষা করে কালোজিরা। আপনারা যদি নিয়মিত কালোজিরা খেতে পারেন তাহলে আপনাদের মেজাজকে ঠিক রাখবে আপনার অতিরিক্ত টেনশন কম হবে, অতিরিক্ত উদ্বেগের কারণ স্মৃতিশক্তির ওপর
ক্ষতি করে, কালোজিরা খেলে আপনার স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং মেধা বিকাশে সাহায্য করবে। রাতে এক গ্লাস পানির সাথে এক চামচ কালোজিরা মিশিয়ে ভিজিয়ে রাখুন তারপর সকালে খালি পেটে খেতে পারেন অথবা সারাদিনের মধ্যে একবার এই পানি দিয়ে চা তৈরি করে পান করতে পারেন অনেক উপকার পাবেন আশা করছি।
গ্যাস্টিকের সমস্যা কমায়ঃ গ্যাস্ট্রিক বিভিন্নভাবে বোঝা যায় তবে এর একটি প্রধান কারণ রয়েছে সেটা হল পেট ব্যথা হওয়া কালোজিরাতে যে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা আমাদের গ্যাসের উপসর্গ গুলো ঠিক করে কালোজিরা খেলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয় পেটের ফোলা ভাব দূর হয় বুক জ্বালাপোড়া ভালো হয় অনেকের বাজে ঢেক উঠে আবার অনেকের গলায় টুপলা হয়ে থাকা দূর করে কালোজিরা খেলে। কালোজিরায় থাকা
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল আপনার শরীরের বেশ কিছু ব্যাকটেরিয়া দূর করতে লড়াই করে কালোজিরা আপনার শরীরে পেশীকে শিথিল করবে যা আপনার পেটের ব্যথা কমাবে আবার অস্বস্তিও কম হবে।
কিডনির সমস্যা দূর করেঃ যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তারা কালোজিরা
খেতে পারেন এটি আপনার কিডনিতে ভালো রাখে আপনি যদি কালোজিরা নিয়মিত পরিমানে খান
তাহলে আপনার কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। আপনি কালোজিরা হালকা ভেজে
চিবিয়ে খেতে পারেন আবার গুড়ো করে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন তাতে আরো ভালো ফলাফল
পাবেন অকালে কিডনি ক্ষতি থেকে মুক্তি পাবেন।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করেঃ কালোজিরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
এন্টিঅক্সিডেন্ট যা রেডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আপনার ত্বকের রক্ষা করবে। আপনি
যদি নিয়মিত কালোজিরা খেতে পারেন তাহলে আপনার ত্বকের লাল লাল ভাব দূর হবে চুলকানি
কমবে যেসব ব্যাকটেরিয়ার কারণে ব্রণ হয় তা দূর করার উপায় কালোজিরা। আপনি
যদি নিয়মিত কালোজিরা খেতে পারেন তাহলে ত্বকের কোষ গুলো পুনরায় তৈরি হয়ে যাবে
যা আপনার ত্বকের ভেতর থেকে উজ্জ্বল করবে
যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করেঃ একটি গবেষণায় দেখা গেছে কালোজিরা
সেবন করা নারী পুরুষ উভয় লিঙ্গের জন্য 'লিবডো' বৃদ্ধি করে আপনি নিয়মিত কালোজিরা
ভেজে চিবিয়ে খাবেন আপনার মানসিক চাপ কমবে আবার কার্যক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি
পাবে।
জন্ডিস বা লিভারের সমস্যা দূর করেঃ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা
লিভারের প্রদাহ কমায় যার কারণে জন্ডিসের সমস্যা থেকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হয়েছে
তা আপনার লিভারের পোস্টগুলোকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
পিরিয়ডের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়ঃ কালোজিরা অ্যাস্ট্রোজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে কিছু লোক ভাবে যেয়ে অনিয়মিত পিরিয়ড হওয়ার একটি সম্ভাব্য কারণ নিয়মিত পিরিয়ড হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত রক্ত পরিবহন করা গুরুত্বপূর্ণ কালোজিরা আমাদের সেই পর্যাপ্ত রক্ত পরিবহন করতে সাহায্য করে।
শিশুর দেহ ও মানসিক স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করেঃ কালোজিরায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এর মত গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান যা আপনার শিশুর মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। কালোজিরা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কাজ করে। কালোজিরার শিশুদের খাওয়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে দুই বছরের নিচে এমন শিশুদের কখনোই কালোজিরা খাওয়াবেন না। দুই বছরের ওপরে বাচ্চাদের খাওয়ানোর ক্ষেত্রে
গুঁড়ো করে অল্প পরিমাণে খাওয়াবেন আর অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ
খাওয়াবেন।
মায়ের বুকের দুধ বাড়াতে সাহায্য করেঃ কালোজিরা কে আমরা সবাই ভেষজ ঔষধ হিসেবে চিনে থাকি। মায়ের বুকের দুধ বাড়ানোর জন্য কালোজিরার ভূমিকা অপরিসীম । যারা প্রথম সন্তান প্রসব করেন সেসব মায়েদের জন্য কালিজিরা সেবন করা অত্যন্ত উপকারী। তারা যদি নিয়মিত কালিজিরা সেবন করেন তাহলে বুকের দুধ উৎপাদনে সাহায্য করবে। কালোজিরাতে রয়েছে গ্যালাকটোজেনিক বৈশিষ্ট্য যা মায়েদের শরীরে দুধ তৈরির প্রক্রিয়াকে
উন্নত করে। বিধায় দুধের উৎপাদন বাধা সৃষ্টিকারী উপাদান গুলো ক্ষতি কম হয়। কালোজিরা যেভাবে খাবেন প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ৫ থেকে ১০ গ্রাম কালোজিরা পানিতে ভিজেও সেবন করতে পারেন আবার চিবিয়ে বা মিহি করেও খেতে পারেন তবে চিবিয়ে মধু দ্বারা সেবন করলে আপনি বেশি উপকৃত হবেন। আবার চাইলে কালোজিরার ভর্তা বানিয়েও ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন।
চুল পড়া রোধ করেঃ কালোজিরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন লৌহ ও ক্যালসিয়াম এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খনিজ পদার্থ যা আমাদের চুলের গোড়াকে শক্ত করে এবং ছোট ছোট নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। কালোজিরা আমাদের খাদ্য উৎপাদনে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে যা চুল পড়ার একটি অন্যতম কারণ। এই কালোজিরা আমাদের ত্বকের সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করে চুল পড়া কমিয়ে দেয়। আপনি যদি সকালে
এবং বিকেলে কালোজিরা খান এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে।
নানা রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করেঃ আপনি যদি নিয়মিত কালিজিরা চিবিয়ে খান
আপনার শরীরকে শরীরের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। বিশেষভাবে ক্যান্সার গ্যাস্ট্রিক
আলসার উচ্চ রক্তচাপ, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, অরুচি, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা,
জন্ডিস, কাশি, হাঁপানি, টিউমার, মাইগ্রেন, আলসার ইত্যাদি ক্ষতিকর ভাইরাস থেকে
কালোজিরা মুক্তি দেয়। এছাড়া এলার্জি, ব্যাকটেরিয়া, অবসন্নতা, গায়ের ব্যথা,
অলসতা এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
কালোজিরার ক্ষতিকর দিক বা কালোজিরার অপকারিতা
কালোজিরার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন এর কিছু ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা রয়েছে কালোজিরা খাওয়ার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যা সম্পর্কে এখন আমরা জানবো। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে কালোজিরা খেয়ে থাকেন তবে আপনার ত্বকে বা শরীরে দেখা দিবে এই ধরুন এলার্জিজনিত কোন সমস্যা। চর্ম রোগের কোন সমস্যা ত্বকে লাল আভা শরীরের রক্ত জমা বাধা বমি বমি হওয়া পাকস্থলী
আরো পড়ুনঃ চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিত
সঞ্চালন সংকোচন হয়ে যাওয়া। বুক জ্বালাপোড়া করা এছাড়া অকালে গর্ভপাত রক্তে সরকারের পরিমাণ কমে যাওয়া ধরনের রোগের সম্মুখীন হতে হয়। আপনার যদি কোথাও কেটে যায় এক্ষেত্রে অতিরিক্ত রক্তপাত হওয়া সম্ভাবনা থাকে। আপনাদের কারো যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কালোজিরা সেবন করবেন এবং অন্যকে খাওয়ার জন্য বলবেন আমাদের সবার জানা উচিত যে কালোজিরাতে যতই উপকার
থাকুক না কেন অবশ্যই তা পরিমান মত এবং নিয়ম মত খাওয়া উচিত। কালোজিরা আমাদের মনকে ভালো রাখে মেজাজকে ঠিক রাখে শরীরকে সতেজ রাখে।
প্রতিদিন কালিজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়
কোন জিনিসের দীর্ঘদিন সেবন করা উচিত নয় তার পরিমান এবং সময় থাকা উচিত। কালোজিরা সেবন করার ক্ষেত্রেও আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে এটা যেন অতিরিক্ত মাত্রা বা অনেক সময় ধরে আমরা ব্যবহার না করি। দীর্ঘদিন ধরে যদি আপনারা কালোজিরা খেয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের মধ্যে কিছু অস্বস্তি বা ক্ষতিকর দিক উঠে আসতে পারে এই ধরুন পাকস্থলী সংকোচন হয়ে যাওয়া বমি বমি ভাব হওয়া বা ত্বকের প্রদাহ জনিত সমস্যা
হতে পারে। এছাড়াও যারা গর্ভবতী মহিলারা থাকেন তাদের অকাল গর্ভপাতের সম্মুখীন হতে
পারে। কালোজিরা খাওয়ার সময় ও নিয়ম হল অবশ্যই তিন মাসের বেশি কালোজিরা
সেবন করবেন না আর দিনে বা রাতে চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে কালোজিরা সেবন করবেন।
রাতে কালোজিরা খেলে কি হয়
আমাদের মনের সবসময় প্রশ্ন জাগে রাতে কালোজিরা খেলে কি হয় আমরা কি প্রতিরাতে কালোজিরা খেতে পারি এতে কি আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে পেট ফাঁপা ভাব কমে যাবে গ্যাস্টিক ও আমাশয় নিরাময় হবে চুল পড়া রোধ করবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাবে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কি সাহায্য করবে এলার্জির সমস্যার কি সমাধান করবে ইত্যাদি ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন আমরা হই আসুন আমরা জেনে নেই রাতে কালোজিরা খেলে কি
ধরনের সুবিধা আপনারা পেতে পারেন আসুন আমরা জেনে নেই রাতে কালোজিরা খেলে
আপনাদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমবে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমবে চুল পড়া রোধ করবে
গ্যাস্টিক ও আমাশয় রোগের নিরাময় করবে পেট ফাঁপা বমি বমি ভাব হজম শক্তি বৃদ্ধি
করবে এছাড়া কালোজিরা তৈরি তেল মাথায় দিলে আপনার চুল বৃদ্ধিতেও সাহায্য
করবে।
টানা সাত দিন কালোজিরা খেলে কি হয়
টানা সাত দিন কালোজিরা খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে
পারি এই ধরনের কালিজিরা খেলে অ্যাজমা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এলার্জির মত সমস্যা
থেকে মুক্তি পেতে পারেন এছাড়া আপনার রক্তের শর্করা তাপমাত্রা যদি নিয়ন্ত্রণে
রাখতে চান তাহলে কালিজিরা খেতে পারেন আপনার ওজন কমানোর জন্য কালোজিরা বেশ উপকারী
ডায়াবেটিসের মতো রোগ থেকেও মুক্তি পাবার জন্য কালিজিরা প্রতিদিন খাবার তালিকায়
রাখাটা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
কালোজিরার তেল
কালোজিরার তেল আমাদের জন্য বেশ উপকারী একটি উপাদান কালোজিরা সরাসরি তেল হিসেবে যখন ব্যবহার করে তা শুধুমাত্র আমাদের চুলের জন্য উপকারি তা নয় পায়ের ব্যথা শরীরের অন্যান্য যাবতীয় ব্যথায় যদি মালিশ করা যায় তাহলে তা তাড়াতাড়ি উপশম পাওয়া যায়। কারণ কালোজিরা তেল আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় যার কারণে সে ব্যথায় স্থানে প্রদাহ কমে। কালিজিরা তেল আপনারা নিজেরা যদি তৈরি করতে না পারেন
তাহলে বাজারের কোন ভালো দোকান বা ভেষজ দোকান থেকেও আপনারা কালিজিরার তেল
পেতে পারেন আর তা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারেন এই ধরুন আপনার শরীর ব্যাথার
স্থানে মালিশ করতে পারেন এবং ভর্তা মুড়ি ইত্যাদি খাওয়ার ক্ষেত্রেও কালিজিরার
তেল ব্যবহার করতে পারেন। গরম ভাত খাওয়ার সময় কালিজিরা উপকারী হিসেবে কাজ
করবেন।
কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত সমস্ত রোগের মহা ঔষধ
কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত সমস্ত রোগের মহা ঔষধ এ কথাটি কোন সাধারণ কথা নয় এটি আমাদের আল কুরআনের কথা মৃত্যু ব্যতীত সমস্ত রোগের মহা ঔষধ বানিয়ে পাঠানো হয়েছে এই কালিজিরাকে। কালোজিরা খেতে কিছুটা তেতো ভাব হওয়ায় আমরা সচরাচর এটা খেতে চাই না কিন্তু এর উপকারিতা এতই বেশি যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ও বলেছেন তোমরা তোমাদের সমস্ত রোগের নিরাময় হিসেবে
মহা ঔষধ হিসেবে সেবন করো এই কালোজিরা কে। তিনি নিজেও কারোর ঔষধ কারো কোন অসুস্থতায় ঔষধ হিসেবে কালোজিরা খাওয়ার জন্য অনুরোধ করতেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url