হাঁটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায়
হাঁটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে ভাবছেন । আপনি কি জানতে চান হাঁটু ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায় কি তাহলে পুরো আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সাথে থাকুন। আজকের আর্টিকেলে শুধু হাঁটু ব্যাথা সারানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করব।
আজকাল সব বয়সী এই ধরুন বাচ্চা থেকে মাঝ বয়সী ও শেষ বয়সী সব ধরনের ব্যাক্তিদের হাঁটুর ব্যাথা হয়ে থাকে। হাঁটুর ব্যাথা হওয়ার নির্দিষ্ট কোন কারণ নেই। অনেকে অনেক ধরনের ব্যাথায় ভুগে যেমন আঘাত জনিত বা বাত ব্যাথা ইত্যাদি।
পেজ সূচিপত্রঃ হাঁটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায়
- হাঁটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায়
- হাঁটুর ব্যাথা কেন হয়?
- হাঁটু ব্যথার কারণ ও প্রতিকার
- হাঁটুর ব্যথার সারানোর খাবার
- হাটু ব্যথা সাড়ানোর ব্যায়াম
- হাটু ব্যথার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা
- কম বয়সে হাঁটুর ব্যথায় কাতর হয়ে পড়েছেন
- উপসংহারঃ হাঁটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায়
হাঁটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায়
হাঁটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায় মেনে যদি আপনারা চিকিৎসা করেন তাহলে অনেক রিলিফ পাবেন।চিকিৎসা করা বা ঘরোয়া উপায়ে টোটকা ব্যবহার করার আগে আপনাকে জানতে হবে আপনার আঘাত কিভাবে লেগেছে , কি ধরনের ব্যাথা , আবার অনেকে বাত ব্যাথায় ভুগে যার কারনে হাঁটু ব্যাথা করে। তাই ব্যাথার ধরণ ভেদে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করবেন। হাঁটুর ব্যাথা কমানো যাবে এমন কিছু ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করবো। যেমনঃ
আরো পরুনঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
ঠাণ্ডা প্যাকঃ হাঁটুর অতিরিক্ত ব্যথার জন্য আপনি ঘরোয়া উপায় হিসেবে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে পারেন বা বরফ কিউব ব্যবহার করেও আপনার পায়ে লাগাতে পারেন। এছাড়া বাণিজ্যিক কোল্ড প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ২০ থেকে ৩০ মিনিট এই প্যাক ব্যবহার করুন আপনার হাঁটু ব্যথা ভালো হয়ে যাবে।
উষ্ণ কম্প্রেসঃ আপনি যদি দীর্ঘস্থায়ী ব্যাথায় ভুগেন তাহলে অবশ্যই উষ্ণ কমপ্রেস পদ্ধতিটা ব্যবহার করুন। এটি যেভাবে ব্যবহার করবেন উষ্ণ গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে পায়ে লাগান। এছাড়া এটি আপনার শরীরে রক্ত প্রবাহের সাহায্য করবে আপনার পেশি শীতল রাখবে। আপনি চাইলে দিনে কয়েকবার যেমন ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় আপনার পায়ে লাগিয়ে রাখতে পারেন আর অবশ্যই তোয়ালে বা হিট প্যাড ব্যবহার করবেন।
ইপসম সল্ট বাথঃ ইপসম সল্ট এক ধরনের লবণ যাতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট যা আপনার শরীরের পেশি এবং জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে কাজ করবে। গোসলের পানিতে অবশ্যই উষ্ণ গরম হতে হবে পানির মধ্যে দুই কাপ ইপসাম সল্ট মিশিয়ে নিবেন মধ্যে তারপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট আপনার পা হাটুকে ভিজিয়ে রাখুন।
ম্যাসাজঃ হাটু কে মেসেজ করার জন্য অবশ্যই এমন তেল ব্যবহার করুন যাতে আপনার ব্যথার উপশম ঘটবে। আপনার ব্যথার উপশম ঘটাতে পারে এমন তেল হল ইউক্যালিপটাস, ল্যাভেন্ডার মত প্রয়োজনীয় অনেক তেল রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করুন। আর অবশ্যই আলতো করে মাসাজ করবেন যাতে করে আপনার শরীরে যাবতীয় প্রদাহ দূর হয়ে যায় এবং আপনার ব্যাথার উপশম ঘটতে সাহায্য করে।
ব্যায়ামঃ হাঁটু ব্যথার জন্য ব্যায়াম করা খুব জরুরী এক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভারী জাতীয় কোন কিছু দ্বারা ব্যায়াম করা যাবে না অবশ্যই প্রয়োজন মত হাঁটা চলাফেরা করতে হবে এবং সাইকেলিং করতে পারেন এটা আপনার বেশি শক্তিশালী করবে এবং আপনার ব্যথা কমাতেও সাহায্য করবে।
হাঁটুর ব্যাথা কেন হয়?
হাঁটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায়তো আমরা জানবো কিন্তু তার আগে জানবো হাঁটু ব্যাথা কেন হয়। আসুন আজ আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করি।
আঘাতঃ অনেকে হাটতে গিয়ে, আবার কেউ খেলতে গিয়ে , আবার বয়স্ক মানুষ চলাফেরার সমস্যা তেও আঘাত লেগে হাঁটুর ব্যাথার সৃষ্টি হয় এটিকে লিগামেন্ট বা কার্টিলেজার ক্ষতি হয়ে যায় যা আমরা বুঝতে পারি না এবং এর চিকিৎসাও নি না যার কারণে আমাদের হাঁটু ব্যথাটা অনেক প্রবল আকারে দেখা যায় এবং অনেক বেশি সময় ধরে আমাদের ভুগায়।
অস্টিওআর্থাইটিসঃ এটি খুব সাধারণ একটি সমস্যা আপনার হাঁটুর কার্ডিলজিস্ট
ক্ষয়প্রাপ্ত হয় ঠিক সেখানে হাঁটুর ব্যথা এবং শক্ত অবস্থা দেখা যায়।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসঃ আপনাদের শরীরে যেখানে অটো ইমিউন রোগ দেখা দেয় সেখানে
শরীরের ইমিউন সিস্টেমগুলোর ব্যথা শুরু করে দেয় এতে করে আপনার প্রদাহ এবং ব্যথা
বাড়তে থাকে।
গাউটঃ গাউট ব্যথা এমন এক ধরনের ব্যথা যা আপনার শরীরের গিরায় গিরায় হতে থাকে
আপনার শরীরে যখন প্রচুর পরিমাণে ইউরিক এসিডের ফটিক জমা হয় তখন হাঁটুতে অতিরিক্ত
ব্যথার সৃষ্টি হয়।
বুরসাইটিসঃ আপনার শরীরের হাটুর স্থান তরলে ভর্তি থাকে যার কারণে প্রদাহিত হলে ব্যথা অনুভব করে।
আরো পড়ুনঃ অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ
টেন্ডনাইটিসঃ আপনার হাঁটুর টেন্ডন গুলোর যদি প্রদাহ হয় ব্যথা অনুভূত হতে পারে আপনি যদি অতিরিক্ত ব্যবহার করে থাকেন তার কারণে হয়।
ওজনঃ আপনার শারীরিক অতিরিক্ত ওজন হাঁটু ব্যথার একটি কারণ হয়ে দাঁড়ায় যা
আপনার শরীরের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।
অতিরিক্ত ব্যবহারঃ আপনি যদি অতিরিক্ত বসে থাকেন, অতিরিক্ত হাঁটাচলাফেরা করেন
অতিরিক্ত দৌড়াদৌড়ি করেন বা অতিরিক্ত যানবাহনে চলাচল করেন সে ক্ষেত্রেও আপনার
হাটুর উপর চাপ সৃষ্টি করে যার কারণে আপনার হাটু ব্যথার কারণটা প্রবল আকার দেখা
দেয় এবং অনেক বেশি ব্যথা অনুভব করে।
হাঁটু ব্যথার কারণ ও প্রতিকার
হাঁটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায় জানার আগে তার কারণ জেনে নিন। আসুন এর কারণ ও প্রতিকার নিয়ে কথা বলি।
কারণসমূহ
আঘাতঃ আপনার হাঁটুতে কোনভাবে যদি মচকে যায় বা আঘাত লাগে অনেক সময় আঘাতের
কারণে হার ফেটে যায় তা বুঝতে না পেরে যদি আপনি সঠিক চিকিৎসা দেখা যায় সঠিক
চিকিৎসা না করেন তাহলে দেখা যাবে এক সময় ব্যথা অনেক বেড়ে যাবে এবং এটা অনেক লং
টাইম ধরে আপনাকে ভোগাবে।
অস্টিওআর্থাইটিসঃ অস্টিওআর্থাইটিস একটি সাধারণ ব্যাথা যা থেকে আপনার হাঁটুতে ব্যাথা থাকে ও শক্ত হয় ফোলা দেখায়।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসঃআপনাদের শরীরে যেখানে অটো ইমিউন রোগ দেখা দেয় সেখানে শরীরের ইমিউন সিস্টেমগুলোর ব্যথা শুরু করে দেয় এতে করে আপনার প্রদাহ এবং ব্যথা বাড়তে থাকে।
গাউটঃ আপনার শরীরে ইউরিক এসিডের স্ফটিক জমা হয় যার কারণে আপনি তীব্র ব্যথা অনুভব করেন।
ওজনঃ আপনি যদি শারীরিকভাবে অতিরিক্ত ওজন বাড়িয়ে থাকেন সেক্ষেত্রেও আপনার
হারের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য ব্যথা বাড়বে।
অতিরিক্ত ব্যবহারঃ আপনি যদি অতিরিক্ত চলাফেরা করেন যানবাহনে ওঠানামা করেন,
অতিরিক্ত বসে থাকেন সে ক্ষেত্রেও আপনার ওজনের জন্য চলাফের জন্য আপনার হাটুর উপরে
চাপ সৃষ্টি হয় আর তাতে ব্যথা আরো তীব্র আকার ধারণ করে।
প্রতিকার
ঠান্ডা প্যাকঃ হাঁটু ব্যথার কারণে অবশ্যই ঠান্ডা পানি দ্বারা বা বরফের কিউব
দ্বারা পায়ে দিয়ে রাখুন তাতে করে আপনার ব্যথার উপশম হবে।
উষ্ণ কম্প্রেসঃ উষ্ণ কমপ্রেস যা হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে তোয়ালে ভিজিয়ে
পায়ে জড়িয়ে রাখতে পারেন আবার হিট প্যাক ব্যবহার করেও পায়ে দিতে
পারেন।
ইপসম সল্টঃ ইপসন সল্ট দ্বারা যে লবণকে আমরা চিনি হালকা কুসুম গরম পানির মধ্যে ইপসন সল্ভ বা লবণ দুই কাপ মিশিয়ে হাঁটু ভিজিয়ে রাখুন তিরিশ মিনিট ব্যথার অনেকটা উপশম পাবেন।
মাসাজঃ ব্যাথা জাগায় অবশ্যই মাসাজ করবেন আর মেসেজ অবশ্যই যে কোন তেল দিয়ে
নয় অলিভ অয়েল বা মেসেজের বিভিন্ন অয়েল পাওয়া যায় যেগুলো দ্বারা করলে পায়ের
ব্যথা দূর হয় এ ধরন কালিজিরা তেল হাঁটু ব্যথার খুব ভালো কাজ করে।
ওভার দা কাউন্টার ওষুধঃ অনেক সময় অনেক ধরনের ক্ষতি হয়ে যায় ওভারকাউন্ট
ওষুধ অনেক সময় অনেক ধরনের ক্ষতি করে দেয় অবশ্যই কোন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করার
আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তা ব্যবহার করবেন।
আরো পরুনঃ পাতিল লেবু খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
ব্যায়ামঃ হাঁটু ব্যথার একটি বড় ঘরোয়া ভাবে আপনার ব্যথার উপশম ঘটাবে তাহলে
ব্যায়াম আপনার প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে ত্রিশ মিনিট করে হাঁটবেন তাতে পায়ের
ব্যথা দূর হবে। অনেক সময় হারফেটে যাওয়ার কারণে আমাদের হাটু ব্যথা হয়ে
থাকে তাই আমাদের নিয়মিত হাঁটতে হবে। আপনারা চাইলে সাইকেলিং করেও ব্যায়াম
করতে পারেন আবার দৌড়াদৌড়ি করেও ব্যায়াম করতে পারেন।
ওজন নিয়ন্ত্রণঃ আপনার শারীরিক ওজন অবশ্যই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে হবে
একজন ব্যক্তির শারীরিক ওজন তার পায়ের উপরে প্রভাব ফেলে যার কারণে হাঁটু ব্যথার
প্রবণতা বাড়ে তাই প্রথমেই নিজের ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করুন।
বিশ্রামঃ প্রতিদিন পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন দিনে রাতে মিলে আট থেকে নয় ঘন্টা
ঘুমান তাতে করে আপনার শরীরে ক্লান্তি দূর হবে শোবার সময় অবশ্যই পায়ের নিচে
বালিশ ব্যবহার করবেন এতে করে হাঁটু ব্যথা অনেকটা কমবে।
হাঁটুর ব্যথার সারানোর খাবার
হাঁটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মনে পড়ল কোন খাবার খেলে ব্যাথার উপশম করবে। চলুন দেখি কি সে ফল।
ফলমূলঃ ফলমূল একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যা খেলে আপনার ব্যথা
নাশকের কাজ করবে কোন ধরনের ফল খাবেন যেমন ধরনের স্ট্রবেরি ব্লুবেরি চেরির মত
বিভিন্ন ধরনের ফল খেতে পারেন।
সবুজ শাকসবজিঃ শাক সবজির মধ্যে আপনি পালং শাক খেতে পারেন যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল যেটা খেলে আপনি জয়েন্টের ব্যথার জন্য প্রধান অসুখ হিসেবে কাজ করবে।
বাদামঃ বাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং এটি ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার
এবং এটা যা আপনার জয়েন্টের ব্যথার প্রদাহ অসুখ কমাতে সাহায্য করবে।
আদাঃ আদা কে বলা হয় একটি প্রাকৃতিক ব্যথা নাশক ঔষধ যা আপনার হাঁটুর
ব্যথা দূর করবে আপনি চাইলে প্রতিদিন আদার রস দুধের মধ্যে দিয়েও খেতে পারেন আবার
রান্নার মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন।
মাছঃ আপনার জয়েন্টের ব্যথার জন্য প্রতিদিন মাছ খাবার চেষ্টা করবেন আর
অবশ্যই তা সামুদ্রিক মাছ হতে হবে সামুদ্রিক মাছে আছে তৈলাক্ত যাতে আছে
ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ ফ্যাটি অ্যাসিড যা আপনার জয়েন্ট এর প্রদাহ দূর করবে
ব্যাথার উপশম ঘটাবেন।
হলুদঃ আপনার ব্যথা উপশমের জন্য হলুদকে কাজে লাগাতে পারেন হলুদে আছে এক ধরনের
উপাদান যাকে বলা হয় কারকিউমেনট যে আপনার ব্যথা দূর করতে সাহায্য করবে।
অলিভ অয়েলঃ আপনার ব্যথা দূর করতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। অলিভ
অয়েল এ আছে এন্ড প্রপার্টি এন্ড ইনক্রিমেন্ট করি যা আপনার জয়েন্টের ব্যাথায়
খুব কাজ করবে।
হাটু ব্যথা সাড়ানোর ব্যায়াম
কোয়াড্রিসেপ্স সেট
সোজা পা বাড়ানোঃ এই ব্যায়ামকে করার জন্য প্রথমে বিছানায় উপর হয়ে শুয়ে পড়ুন এক পা বাঁকিয়ে রাখুন এবং অন্যপা সোজা করে উপরে উঠান এভাবে ১৫ থেকে ২০ বার কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং ধীরে ধীরে নামিয়ে নিন প্রতিটি পায়ের জন্য একইভাবে করবেন।
উপবিষ্ট হ্যামেস্টিং প্রসারিতঃ এই ব্যায়ামটি করার জন্য আপনার একটি চেয়ারের
প্রয়োজন হবে প্রথমে চেয়ারটির ওপর পা তুলে বসুন এবং এক পা ভালো করে ঘুরাতে থাকুন
দেয়ালের সাথে ভারসাম্য রেখে চেয়ারকে ধরুন এবং দুই পাকে ধীরে ধীরে ঘোরান এভাবে
দুই থেকে তিনবার দুই পাকে পুনরাবৃত্তি করুন।
কম প্রভাবিত ব্যায়াম
সাঁতারঃ সাঁতার কাটার জন্য আমাদের হাটুর উপর কোন চাপ সৃষ্টি করতে হয় না
এটাতে পুরো শরীরের উপর। শরীরের উপর যেহেতু চাপ পড়ে তাই এ ধরনের ব্যায়াম করলে
আপনার হাঁটু ব্যথার উপসম ঘটবে।
সাইকেল ব্যায়ামঃ সাইকেল চালানো এক ধরনের ব্যায়াম যা আমাদের শরীরের পেসিকে
শক্তিশালী করে এবং রক্ত সঞ্চালনের সাহায্য করে যার কাছে জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে
কাজ করে।
হাটু ব্যথার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা
আয়ুর্বেদিক তেল ও মালিশ
মাহানারায়ন তেলঃ এটি একটি ভেষজ ঔষধ যা থেকে আপনার জয়েন্টের ব্যথায় উপশম
পাবেন।
ধ্যানতরাম তেল ভেষজ ঔষধঃ এটিও একটি ভেষজ ঔষধ যা আপনার প্রদা হতে খুব কাজ করে
এটি প্রাকৃতিকভাবে তৈরির কারণে জয়েন্টের ব্যথার জন্য খুব কাজ করে।
অশ্বগন্ধাঃ অশ্বগন্ধা প্রাকৃতিকভাবে হাঁটু ব্যথা কমাতে খুব কাজ
করে।
গুঙ্গলঃ গুঙ্গল দ্বারা যদি হাটুতে লাগানো হয় তাহলে হাঁটু ব্যথার উপশম হয়।
ঘরোয়া প্রতিকার
আদাও হলুদঃ আদা ও হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার হাঁটু ব্যথাতে খুব কাজ
করে আপনি চাইলে আদায় ও হলুদের রস দুধের মধ্যে দিয়েও খেতে পারেন আবার প্রতিদিনের
রান্না আর কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
মেথি বীজঃ আগের দিন রাতে হালকা কুসুম গরম পানির মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন এবং এর
পানি প্রতিদিন নিয়মিত পান করুন তাহলে দেখবেন আপনার হাঁটু ব্যথার অনেকটা উপশম
হবে।
আয়ুর্বেদিক ব্যায়াম
যোগব্যায়ামঃ হাঁটু ব্যথা কমানোর আয়ুর্বেদিক ব্যায়াম যেটাকে বলা হয় তা হল
যোগব্যায়াম। যোগব্যায়াম দ্বারা আপনি আপনার হাটুকে রিলিফ দিতে পারেন এবং ব্যথা
কমানোর উপকারি।
কম বয়সে হাঁটুর ব্যথায় কাতর হয়ে পড়েছেন
হাঁটুর ব্যাথার কারনঃ হাটু ব্যাথার বিভিন্ন ধরনের কারণ থাকে বেশি চলাফেরা
করার কারণে অতিরিক্ত শুয়ে বসে থাকার কারণে আবার যানবাহনে অতিরিক্ত চলাচলের
কারণেও হাঁটু ব্যথা হয়ে থাকে
হাঁটু ব্যথার প্রতিকারঃ
বিশ্রামঃ জয়েন্টের ব্যথা কমানোর জন্য প্রতিদিন নিয়মিত বিশ্রাম নিন
বরফঃ জয়েন্টের ব্যথা কমানোর জন্য ঠান্ডা বরফের কিউব ব্যবহার করতে পারেন যাতে
জয়েন্টের ব্যথা অনেকটা কমে যাবে
কম্প্রেশনঃ হাটু ব্যাথার আর একটি উপশম হলো কম্প্রেশন।
উচ্চতাঃ আপনার উচ্চতা অনুযায়ী শারীরিক গঠন ওজন ঠিক রাখুন সবার সময় অবশ্যই
উঁচু বালিশের পা রেখে ঘুমান তাতে জয়েন্টের ব্যথা কমে যাবে।
ফিজিওথেরাপিঃ জয়েন্টের ব্যথায় ফিজিওথেরাপি অনেকটা কাজ করে তবে অবশ্যই
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ফিজিওথেরাপি ব্যবহার করবেন না।
ওজন নিয়ন্ত্রণঃ শারীরিক ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন তাতে আপনার জয়েন্টের ব্যথা কমে যাবে।
আয়ুর্বেদিক প্রতিকার
অশ্বগন্ধাঃ প্রাকৃতিক ভাবেও অশ্বগন্ধা এতটাই কার্যকরী যে জয়েন্টের
ব্যথার জন্য খুব কাজ করে।
আদা ও হলুদঃ আদায় হল প্রাকৃতিকভাবে জয়েন্টের জন্য খুব কাজ করে যা আপনার
জয়েন্টের ব্যথা দ্রুত দূর করেন।
মেথি বীজঃ মেথি বিশ্বের সঠিক উপায় ব্যবহার করুন তাহলে দেখবেন আপনার ব্যথার উপশমের খুব ভালো কাজ করবে।
উপসংহারঃ হাঁটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায়
শুধু হাঁটুর ব্যথায় নয় শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে যখনই আপনাদের কোন ব্যথা অনুভব হবে অবশ্যই গরম পানির সেক ব্যবহার করবেন ঠান্ডা পানি বরফের কিউব ব্যবহার করবেন। এতে করে আপনাদের অনেকটা ব্যথা কম অনুভব হবে এছাড়া আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করবেন। ফিজিওথেরাপি যদি নেওয়ার কথা ভাবেন সে ক্ষেত্রেও ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে অবশ্যই তা নেওয়ার চেষ্টা করবেন। আজকের আর্টিকেল থেকে যদি আপনাদের কোন
তথ্যের অনুসন্ধান দিতে পারি তো আমার খুব ভালো লাগবে আশা করছি আপনাদেরও ভালো
লেগেছে। আমার আর্টিকেলটি পরে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার
পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। আজকে এ পর্যন্তই ভালো থাকুন (আল্লাহ
হাফেজ)
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url