অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকারের উপায় জেনে নিন

 অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকারের উপায় নিয়ে অনেকে অনেক চিন্তিত।  আপনারা কি জানতে চান অল্প বয়সে চুল পরার কারণ কি যদি জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি অবশ্যই পরবেন। আপনাদের অনেকের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন জাগে কি কারনে চুল ওঠে এর প্রতিকারই বা কি। আমরা অনেকে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নেই যে কিভাবে আমাদের চুলের যত্ন নিতে পারব। অল্প বয়সে চুল পড়ার একটি সাধারণ কারণ হলো বংশগত কারণ বা জেনেটিক কারণ।

অল্প-বয়সে-চুল-পড়ার-কারণ-ও-প্রতিকারের-উপায়-জেনে-নিন

অনেকের হরমোনের কারণেও বা থাইরয়েডের কারণেও চুল উঠে থাকেযখন একজন ব্যক্তি কিশোরী বয়সে পদার্পণ করে বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হয় তখন থেকে তার মধ্যে অনেক ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়। আর এই পরিবর্তন গুলোর মাধ্যমেই অল্প বয়সে চুল উঠার কারণ হয়ে দাঁড়ায় আসুন আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা জেনে নেই কিভাবে এর প্রতিকার করতে পারব।

পেজ সূচিপত্রঃ অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকারের উপায় জেনে নিন

অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ

অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ সাধারণত হরমোনের কারণ ও থাইরয়েডের কারণ। আবার বংশগত কারণ বা জেনেটিক্স এর কারনেও চুল উঠে থাকে। বংশগত কারণে বা জেনেটিকসের কারণে যখন আমাদের চুল ওঠে তা ধীরে ধীরে উঠতে থাকে চুল উঠার ধরনটা এমন যে মাথার সামনে দুপাশে চুল উঠে যায় এবং কপাল আস্তে আস্তে ফাঁকা হতে থাকে মাথার চুল কমে যায় মাথার উপরে অংশ ফাঁকা হয়ে যায়। একসময় দেখা যায় পুরো মাথা টাক হয়ে যায়। পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবেও চুল উঠে থাকে আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টির প্রয়োজন।

আরো পরুনঃ ত্বক ফর্সা করার উপায় জেনে নিন 

 আর অল্প বয়সে যখন পুষ্টির প্রয়োজন তখন আমাদের শরীরে যখন ঘাটতি চলে আসে তখনই এর চুল ওঠার সমস্যাটি আমাদের সামনে চলে আসে প্রকট আকার ধারণ করে। চুল উঠা রোধ করার জন্য আমাদের শারীরিকভাবে যে সকল পুষ্টির প্রয়োজন তা হলো প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনের প্রয়োজন, প্রচুর পরিমাণে আয়রনের প্রয়োজন , ক্যারোটিনের প্রয়োজন খনিজের প্রয়োজন যা আমরা পর্যাপ্ত পরিমানে কখনোই পাইনা যার কারণে আমাদের চুল ওঠার কারণটা এত বেশি ভয়ংকর রূপ ধারণ করে।

অল্প বয়সে চুল পড়া রোধের জন্য প্রাকৃতিক উপায় 

অল্প বয়সে চুল পড়া রোধের জন্য প্রাকৃতিক উপায় কে ফলো করুন। এমন অনেক ঘরোয়া উপায় আছে যা ব্যবহার করে অল্প বয়সে তো চুল পড়াকে রোধ করা যাই আবার যে কোন বয়সের ব্যক্তির প্রাকৃতিকভাবে চুল পড়াকে রোধ করতে পার। প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পড়া কিভাবে কমাবেন আসুন আমরা এ বিষয়ে কার্যকরী সমাধান গুলো নিয়ে আলোচনা করি।

এলোভেরা: চুলে শ্যাম্পু করার পর চুল শুকিয়ে নিন। তারপর এলোভেরা দিয়ে আপনার মাথার স্কাল্পে ভালো করে মাসাজ করবেন এবং ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। আবার আপনারা চাইলে গোসলের আগেও ব্যবহার করতে পারবেন। 

নারিকেল তেল: আপনারা মাথায় ব্যবহার করার জন্য খাঁটি ভার্জিন নারিকেল তেলটি ব্যবহার করবেন এতে আপনার চুল ভাল থাকবে। নারিকেল তেল যেভাবে ব্যবহার করবেন রাতে শোয়ার আগে ভালো করে মাথার স্কাল্পে মাসাজ করবেন আর সারা রাত রেখে দিবেন। তাতে আপনার চুলকে মজবুত করবেও পুষ্টি যোগাবে চাইলে আপনারা গোসলের এক ঘন্টা আগেও মাথায় তেল ম্যাসাজ করে গোসল করে শ্যাম্পু করে নিতে পারেন।

আরো পরুনঃ মেয়েদের সৌন্দর্যের রহস্য জেনে নিন 

পেঁয়াজের রসঃ চুলের বৃদ্ধির জন্য পেঁয়াজের রস অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। এটি যেভাবে ব্যবহার করবেন পেঁয়াজ থেকে রস বের করে নিন তারপর বিশ থেকে ত্রিশ মিনিট চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন তারপর ধুয়ে ফেলুন পেঁয়াজের রসে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে যার চুলকে বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে।

গ্রিন টিঃ গ্রিন টিতে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করুন। চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন এক ঘন্টা তার পর ধুয়ে ফেলুন।

ডিমের মাস্কঃ চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী করতে ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করুন। ডিমের সাদা অংশে রয়েছে প্রোটিন। ডিমের মাস্ক তৈরি করে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট তারপর ধুয়ে ফেলুন।

আমলাঃ আমলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আমলা চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে তাই অবশ্যই সপ্তায় তিন দিন চুলের গোড়ায় আমলার পেস্ট তৈরি করে লাগান আর ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

মেথি বিজঃ মেথি বীজ ব্যবহার করলেও চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী করে। আগের দিন রাতে মেথি ভিজিয়ে রাখুন তারপর সকালে পেস্ট তৈরি করুন। আর সপ্তাহে দুই দিন চুলের গোড়ায় লাগান তারপর ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। মেথি বিজ আপনার চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

সুষম খাদ্য গ্রহণঃ আমাদের শরীরের জন্য যেমন সুষম খাদ্য প্রয়োজন তেমনি চুলের জন্য সুষম খাদ্য প্রয়োজন চুলের জন্য প্রোটিন প্রয়োজন, ভিটামিন প্রয়োজন তাই পুষ্টিকর খাবার খাবেন। বাজারে পুষ্টিকর এমন অনেক খাবার পাওয়া যায় যেমন মিষ্টি আলু ব্রকলি খেজুর টমেটো গাজর টক জাতীয় ফল সামুদ্রিক মাছ আয়োডিনযুক্ত খাবার ইত্যাদি। 

কিশোর বয়সে অত্যাধিক চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার

শৈশব কাল শেষ হওয়ার পর শুরু হয় কৈশোর বা বয়সন্ধিকাল। আর এই সময়ে ছেলেমেয়েদের উভয়ের মধ্যে শারীরিকভাবে অনেক পরিবর্তন আসে আর সেসব পরিবর্তনের কারণে চুল ওঠার মতো সমস্যা দেখা দেয়। কিশোর বয়সে চুল পড়া নিয়ে যে সকল সমস্যায় ভুগতে হয় তা আমরা এখানে আলোচনা করেছি।

হরমোনের পরিবর্তনঃ কিসের বয়সে প্রথমে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তা হলো হরমোনের পরিবর্তনের। এই হরমোনের পরিবর্তনের কারণে চুলের ফলিকল কে প্রভাবিত করে।

আরো পরুনঃ মেয়েদের সৌন্দর্যে মেকাপের ব্যবহার

পুষ্টির ঘাটতিঃ কিশোর বয়সে চুল পড়ার কারণ পুষ্টির ঘাটতি অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের থাকে আবার অনেক নিম্নবিত্ত পরিবারের থাকে যাদের পক্ষে পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া সম্ভব হয় না। ভিটামিন, খনিজের ও প্রোটিনের অভাব তো আছে বিশেষ করে বায়োটিনের অভাবেও চুল পড়ে।

স্ট্রেস এবং মানসিক চাপঃ নিম্নবিত্ত পরিবারের কিশোর কিশোরীরা পারিবারিক চাপ, আর্থিক চাপ এছাড়াও সামাজিক কারণে, পরীক্ষার কারণে ও মানসিক চাপ চুল পড়ার একটি সাধারণ কারণ।

অতিরিক্ত স্টাইলিংঃ চুলকে স্ট্রেট করার জন্য হিট দেওয়া, লেজার ট্রিটমেন্ট করা, অতিরিক্ত কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করা খুব শক্ত বা টাইট হেয়ার স্টাইল চুলের অতিরিক্ত ক্ষতি করে।

স্বাস্থ্য সমস্যাঃ হরমোনের সমস্যা, কেমোথেরাপির জন্য টাইফয়েড জনিত সমস্যা, জন্ডিস সমস্যা, পলিসিস্টিক ও ওভারের সিনড্রোম এ ধরনের অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে চুল পড়ে।

কি কারনে এত চুল পড়ছে

বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন কারণে চুল পড়ে থাকে প্রত্যেক ব্যক্তি কোন না কোন কারণে চুল পড়া সমস্যায় ভুগছে। আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে কি কারণে আসলে এত চুল পড়ে। আমাদের প্রশ্নের উত্তর আজকের আর্টিকেলটি পড়লে পেয়ে যাবেন। চুল পড়ে সাধারণত বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংসার কারণে যেমন ধরুন থাইরয়েড বা হরমোনের সমস্যা আবার আপনাদের জরের মধ্যে যদি টাইফয়েড হয় সেক্ষেত্রে চুল ওঠে মানে পুরো মাথা ফাঁকা হয়ে যায় টাক পড়ে যায়।

অল্প-বয়সে-চুল-পড়ার-কারণ-ও-প্রতিকারের-উপায়-জেনে-নিন

অনেকেই এর সমাধান খুঁজতে চুল কেটে ফেলে। পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবেও চুল ওঠে চুলে যখন প্রোটিনের অভাব হয়, খনিজের অভাব হয়, ভিটামিনের অভাব হয় তখন চুলের ফলিকলকে নষ্ট করে আর চুল পড়া শুরু করে। 

অকালে চুল পাকা রোধে করণীয়

অকালে যেন চুল না থাকে তার জন্য করনীয় কিছু উপায় রয়েছে আসুন তা দেখিঃ

পুষ্টিকর খাদ্যঃ চুলের স্বাস্থ্য সতেজ রাখতে ভিটামিন সি ভিটামিন বি১২, প্রোটিন, আয়রন এবং কপার সমৃদ্ধ যেমন ডিম, সামুদ্রিক মাছ, সবুজ শাকসবজি, বাদাম, টক জাতীয় ফল এ ধরনের খাবার খাওয়া উচিত। এজাতীয় খাবারে চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকরী। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় ফলমূল ও শাকসবজি চুলকে অকালে পাকার হাত থেকে রক্ষা করে। আপনি যদি মেহেদী পাতা পিষে চুলে লাগাতে পারেন তাহলে আপনার চুল কালো থাকবে।

মেয়েদের অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার

হরমোন পরিবর্তন যেমন মেয়েদের গর্ভ অবস্থায় চুল পরার কারণ। আবার মেনোপাস এবং থাইরয়েড সমস্যা জনিত কারণে চুল পড়ে এমন অনেক ওষুধ দেয়া হয় যাতে চুল পড়ার কারণ হতে পারে। অনেকের বংশগত কারণেও চুল পড়ে যাকে বলা হয় জেনেটিক্স ধীরে ধীরে ঘটে। পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে চুল পড়ে শরীরে যখন জিঙ্ক, আয়রনের অভাব, খনিজের অভাব এবং ভিটামিন ডি এর অভাব ঘটে তখন চুল পড়ে যায়। যারা অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকে তাদের চুল ওঠার একটি বড় কারণ হতে পারে।

অল্প-বয়সে-চুল-পড়ার-কারণ-ও-প্রতিকারের-উপায়-জেনে-নিন

মেয়েদের চুল পড়ার প্রধান কারণ হলো মানসিক চাপ চুল পড়া কমাতে হলে মানসিক চাপ কমাতে হবে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। টেস্ট ম্যানেজমেন্ট যেমন যোগ ব্যায়াম করতে হবে যা আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে। পর্যাপ্ত ঘুমতে হবে। চুলের যত্নে যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করুন, যেমন আমলকি তেল, অলিভ অয়েল,  নারিকেল তেল চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করবে। চুলে কখনোই অতিরিক্ত শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না। আপনার যদি চুল পড়ার সমস্যা কোন ভাবে ভালো না হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন অবশ্যই।

ছেলেদের অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার

মেয়েদের ন্যায় ছেলেদেরও অল্প বয়সে চুল পড়ে যায়। ছেলেদের চুল সাধারণত পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে হয়। বংশগত জেনেটিক্স এর কারনে হয়। হরমোনের কারণে টেস্ট টোস্টেরনের ডেরিভেটিভ চুলের ফলিকল কে নষ্ট করে যার কারণে চুল পড়া শুরু হয়। ছেলেরা অল্প বয়সে যখন বাইরের কাজে ব্যস্ত থাকে তাদের ওপর প্রচুর মানসিক চাপ কাজ করে আর এটাও চুল পড়ার একটি কারণ। অনেক সময় কিছু ওষুধের কারণে ও চুল পড়ে।

চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য প্রচুর পরিমাণে খাদ্য যেমন আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিন, জিঙ্ক আছে এমন খাবার খেতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিতে হবে। যোগ ব্যায়াম আপনার মানসিক চাপ কমাবে চুল পড়া রোধ করবে। চুলকে সুস্থ রাখতে চুলের গোড়ায় তেল ম্যাসেজ করুন। মাসাজ মাথার স্কাল্পে রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করে চুলকে ভালো রাখে। কোন তেল ব্যবহার করবেন অবশ্যই নারিকেল তেল, আমলকি তেল, কালিজিরার তেল ইত্যাদি প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করুন। সঠিকভাবে শ্যাম্পু করুন ও কন্ডিশন ব্যবহার করুন। চুল পড়ার মাত্রা বেশি হলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

শেষ কথা

অল্প বয়সে চুল পড়ার যে সকল কারণ আমরা দেখলাম এ থেকে আমার বুঝতে পারলাম আমাদের সবার মাঝেই এই কারণ গুলো বিরাজোমান। এই সমস্যা গুলো বুঝে চললে চুল পড়ার সমস্যাকে এড়িয়ে চলা যায়। আপনারা চাইলেই প্রাকৃতিক উপায়েই নিজেদের চুল পরা রোধ করতে পারেন। টাটকা শাক-সবজি, ফলমূল ও বাদাম প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন দেখবেন অল্প বয়সে চুল পড়া থেকে রক্ষা পাবেন। আশা করছি আমার লেখা আর্টিকেল থেকে আপনাদের সঠিক কিছু তথ্য দিতে পেরেছি। আমার লেখা আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনাদের  বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। 





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url