সরকারি ভাবে কানাডায় যাওয়ার উপায় ২০২৪।


আজ আমরা আমাদের আর্টিকেলের শুরুতে জানবো কানাডায় কিভাবে সরকারি ভাবে যাওয়া যায় আজ বর্তমান ২০২৪ সালে কানাডায় যাওয়াটা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে আজ এই কঠিন পরিস্থিতিকে কিভাবে সহজ ভাবে উপস্থাপন করা যায় সে সম্পর্কে আমরা জানবো কানাডায় বিভিন্নভাবে যাওয়া যায় তবে সরকারি ভাবে যাওয়াটাই শ্রেয়। বিভিন্ন দেশ থেকে সাধারণত উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য কানাডায় গিয়ে থাকে ।
 
বর্তমানে সরকারিভাবে কানাডায় যেতে হলে আমাদের কিছু যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন আমরা কি কাজের উপর নির্ভর করে কানাডায় যেতে চাই সে সম্পর্কে আগে আমাদের জানতে হবে কানাডায় বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে যে থাকে যেমন আমরা কেউ যেতে চাই পড়াশোনার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আবার কেউবা যেতে চাই ভিজিটর ভিসা নিয়ে ভ্রমণের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের জন্য ভিসা। 

পেজ সূচিপত্রঃ সরকারি ভাবে কানাডায় যাওয়ার উপায় ২০২৪।  

সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় ২০২৪

 
সরকারি ভাবে কানাডায় যাওয়ার বিশেষ তিনটি উপায় হল স্টুডেন্ট ভিসা শুধুমাত্র পড়াশোনার জন্য হয়ে থাকে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যা শুধুমাত্র কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়াকে বুঝায়। ভিজিটর ভিসা শুধুমাত্র ভ্রমণকে বোঝা। কানাডা যাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই সরকারি ফর্ম থাকে অবলম্বন করব কারণ সরকারি ভাবে কানাডায় গেলে কোনরকম হেনস্থা হতে হবে না। সরকারিভাবে কানাডায় যেতে অনেকে অনেক ধরনের এজেন্সিকে হায়ার করে থাকে।


সরকারি ভাবে কানাডায় যেতে হলে কিছু যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন। সেখানে যেতে আমাদের যে অর্থের প্রয়োজন সেটা আমাদের ব্যবস্থাপনার মধ্যে রাখতে হবে। সরকারিভাবে কানাডায় যেতে হলে সরকারি পন্থা গুলো ফলো করতে হবে আর এই সরকারি গ্রন্থাগুলো হলো প্রয়োজনীয় শিক্ষকতা যোগ্যতা, রেজিস্ট্রেশ, ভিসা রেডি করা ইত্যাদি। কানাডা যাওয়ার ক্ষেত্রে এ সরকারি এজেন্সি গুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। 

বর্তমান 2024 সালে কানাডা যাওয়ার ভিসা অনেক আপডেট হয়েছে এই আপডেট ভিসা পেতে হলে আমাদের যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়। কারণ কানাডা উত্তর আমেরিকার মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র যেখানে প্রতিনিয়ত প্রত্যেক বছর প্রায় তিন থেকে চার লাখ মানুষ সেখানে বসবাসের জন্য চাকরির জন্য বা ভ্রমণের জন্য গিয়ে থাকে। ২০২৪ সালে বর্ধমানের এজেন্সির হাত থাকায় বিভিন্ন অবৈধভাবে দেশের বাইরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে তাই পদ্ধতিতে গেলে শুধু বিপদ।

কানাডায় বেশিরভাগ মানুষ পড়াশোনার উদ্দেশ্যে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চাই বর্তমান শিক্ষা অর্জনের একটি উন্নত রাষ্ট্র বলে বিবেচনা করা হয় কানাডাতে কানাডায় বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা অনেক উন্নত কর্মব্যবস্থা যথেষ্ট উন্নত, আর ভ্রমণের জন্য এমন কিছু জায়গা নির্দিষ্ট করা আছে যেখান থেকে ভ্রমণের ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত এবং স্বাস্থ্যসম্মত। স্টুডেন্ট ভিসায় কোন এজেন্সির সাহায্য না নেওয়ায় উত্তম এজেন্সি দ্বারা শুধু হয়রানি আর অর্থ বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থা।

এগ্রিকালচারাল ওয়ার্কার প্রোগ্রাম

বর্তমানে কানাডা কিসে ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে আছে আর এই কৃষি ক্ষেত্রে চালু করেছে এগ্রিকালচারাল ওয়ার্কার প্রোগ্রাম। আপনারা চাইলেই কানাডায় এগ্রিকালচারাল ওয়ার্কার প্রোগ্রাম মাধ্যমে কানাডায় যেতে পারে কানাডা অনেক উন্নত উন্নত হয়েছে কৃষি ক্ষেত্রে। এই কৃষি ক্ষেত্র থেকে কানাডা অনেক অনেক অর্থ উপার্জন করছে যেখান থেকে অন্যান্য দেশের মানুষও প্রচুর অর্থ পাচ্ছে।

আটলান্টিক ইমিগ্রেশন পাইলট প্রোগ্রাম

আটলান্টিক এমিগ্রেশন পাইলট প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে বর্তমানে কানাডায় প্রায় চারটি প্রদেশে অভিভাষণের ব্যবস্থা করা হয় এই প্রোগ্রামটি নিয়ে কানাডা সরকার চালু করেছে যাতে করে ইমিগ্রেশন প্রোগ্রামে জরুরীভাবে শ্রমিক নিয়োগের ব্যবস্থা করা যায়। এই ইমিগ্রেশন পাইলট প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে কানাডা সরকার অন্যান্য দেশের কর্মসংস্থানের জন্য ব্যবস্থা করছেন। আটলান্টিক ইমিগ্রেশন পাইলট প্রোগ্রাম এর জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য অনেক ধরনের লোক আসছে।
 


রুরাল এন্ড নর্দান ইমিগ্রেশন পাইলট

রুরাল এন্ড নর্দান ইমিগ্রেশন পাইলট এর মাধ্যমে কানাডার অনেক ছোট ছোট শহর এবং গ্রাম্য এলাকায় অভিবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে এটি বর্তমান স্থানীয় জনসংখ্যা ও অর্থনীতির বৃদ্ধির জন্য চালু করার ব্যবস্থা নিয়েছে। বর্তমানে এই রুরাল আর নর্দান ইমিগ্রেশন পাইলটের ব্যবস্থাপনা উন্নত হওয়ায় কানাডা সরকার অন্যান্য দেশের শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পেরেছে। খাওয়া-দাওয়ার খাওয়া-দাওয়ার উন্নতি হয়েছে।

কেয়ার গিভার প্রোগ্রাম

কেয়ার গিভার প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে যদি আপনি কাজ করতে চান তাহলে কানাডায় যেতে পারেন। বর্তমানে একজন শ্রমিক কেয়ার গ্রিভার প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বসবাস করতে পারেন। প্রোগ্রামের মাধ্যমে একজন শ্রমিক বা একজন চাকরিজীবী অথবা একজন স্টুডেন্ট তার পড়াশোনা শেষেও এই পারমিট  ভিসাটি নিতে পারেন। বর্তমানে কেয়ার গ্রিভার প্রোগ্রাম চালু হওয়ায় অনেক মানুষের অনেক ধরনের সুবিধা তৈরি হয়েছে।

স্টার্ট অফ ভিসা প্রোগ্রাম

এই স্টার্ট অফ ভিসা প্রোগ্রামটি চালু করা হয়েছে একজন ব্যবসায়ীদের জন্য। আপনি যদি একজন সফল ব্যবসায়ী হতে চান তাহলে কানাডার এই  ভিসা প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন বাই প্রোগ্রামটি বেছে নিয়ে ব্যবসায়ী সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাতে পারেন। আপনার যদি নতুন নতুন কোন ব্যবসার আইডিয়া তাহলে আপনি যুক্ত হতে পারেন স্টার্ট অফ ভিসা প্রোগ্রাম এর । স্টার্ট অফ ভিসা প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় আইটেম তৈরি হয়েছে । 

ফ্যামিলি স্পন্সারসিভ প্রোগ্রাম

আমরা যারা পার্মানেন্টকে কানাডায় অভিবাসী হিসেবে বসবাস করছি তারা চাইলে ফ্যামিলি স্পনসরশিপের তাদের পরিবারের সদস্যদের ভ্রমণের জন্য বাই স্থায়ী বসবাসের জন্য আনতে পারেন। অনেকে আছে পড়াশোনার পর চাকরি হয়ে গেলে তারা একসময় স্থায়ী হয়ে যায় তারা চাইলেই তাদের পরিবারদের এই স্পনসরশীপের আওতায় এনে কানাডা ভ্রমণ করাতে পারে। স্পনসেনশিপ দ্বারা অনেক মানুষ তাদের পরিবার নিয়ে একসঙ্গে থাকতে পারছে।

ওয়ার্ক পারমিট

বিভিন্ন দেশ থেকে যারা কাজের উদ্দেশ্যে কানাডায় ভিসা লাগিয়ে থাকে তাদের ভিসাটাকে বলা হয ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। যারা বিভিন্ন দেশ থেকে কাজের উপরে ভিসা নিয়ে কানাডায় আছে আসেন একসময় তাদের কাজের স্থায়িত্ব অনেক বেশি হওয়ায় অনেক অভিজ্ঞ হওয়ায় একটা সময় তাদের কাজের উপর নির্ভর করে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিয়ে দেয়া হয়। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হওয়ার কারণে অনেকের কর্মজীবন অনেক উন্নত হয়ে।

ভিজিটর ভিসা অ্যান্ড এক্সপ্রেস টি প্রোগ্রাম

ভেজিটার ভিসা ভিজিটর ভিসা ভ্রমণ ভিসা আমরা বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন সময় কানাডায় ভ্রমণের জন্য ভিসা করিয়ে থাকি যাকে বলে টুরিস্ট ভিসা। আর এই টুরিস্ট ভিসা তৈরি করতে অবশ্যই ছয় মাসের পাসপোর্ট থাকতে হবে। অনেকে ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে এমন কিছু কিছু এলাকা অঞ্চল থাকে যেখানে গিয়ে স্থায়ীভাবে ও বসবাসের সুযোগ পাওয়া যায়। কানাডায় দর্শনীয় স্থানগুলোতে এত পরিমাণ ভিজিটর থাকে।


সরকারি ভাবে কানাডায় যাওয়ার দশটি উপায়

  • প্রথমত, সরকারিভাবে কানাডায় যাওয়ার উপায় হল এক্সপ্রেস অ্যান্ড প্রোগ্রাম।
  • দ্বিতীয়ত, সরকারিভাবে কানাডায় যাওয়ার উপায় হল প্রবান্সিয়াল নমিনি প্রোগ্রাম।
  • তৃতীয়ত, আটলান্টিক ইমিগ্রেশন পাইলট প্রোগ্রাম এর মাধ্যমেও কানাডায় যাওয়া যায়।
  • চতুর্থত , রুরাল এন্ড নর্দান ইমিগ্রেশন পাইলট এর মাধ্যমেও কানাডায় যাওয়া যায়।
  • পঞ্চমত, সরকারি ভাবে কানাডায় যাওয়ার পঞ্চম উপায় হল স্টার্টআপ ভিসা প্রোগ্রাম।
  • ষষ্ঠত, সরকারি ভাবে কানাডায় যাওয়ার ষষ্ট উপায় হল স্টুডেন্ট ভিসা।
  • সপ্তমত , সরকারি ভাবে কানাডায় যাওয়ার সপ্তম উপায় হল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।
  • অষ্টমত, সরকারি ভাবে কানাডায় যাওয়ার অষ্টম উপায় হল স্পন্সর ভিসা।
  • নবমত , সরকারি ভাবে কানাডায় যাওয়ার নবম উপায় হলো শিক্ষাগত যোগ্যতা।
  • দশমত, সরকারিভাবে কানাডায় যাওয়ার দশম উপায় হল ভিজিটার ভিসা।

শেষ কথা

আজকাল পড়াশোনার জন্য চাকরির জন্য বা ভ্রমণের জন্য আমরা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় গিয়ে থাকি । বর্তমান কানাডার শিক্ষা ব্যবস্থা দিতে অনেক এগিয়ে আছে। তাই আমাদের শিক্ষা অর্জনের জন্য কানাডাকে বেছে নিতে পারি। আবার ভ্রমণের জন্যেও আমরা কানাডার আকর্ষণীয় কিছু দর্শনীয় স্থানকে বেছে নিতে পারি কাজের জন্যেও কানাডা অত্যন্ত উপযোগী একটি জায়গা। কানাডার দর্শনীয় স্থানগুলো দেখার মত

কানাডায় যাওয়ার জন্য এই প্রোগ্রামগুলোর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এবং যোগ্যতা নিয়ে যতরকম তথ্য প্রয়োজন সেগুলো বিস্তারিতভাবে জানতে কানাডার সরকারি ওয়েবসাইটে ভিজিট করে দেখতে পারেন আপনাদের যদি আরও কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে থাকা লিংকে প্রশ্ন করুন আপনাদের প্রশ্নোত্তরে মধ্য দিয়ে আরো বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব।







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url