স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

 স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় নিয়ে আজকের আর্টিকেল। আসুন আমরা জেনে নেই কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করা যায়। আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে ঘরোয়া উপায় স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করা যাই।


ঘরোয়া উপায়ে ত্বক ফর্সা করতে আমাদের যা যা লাগবে তা আমাদের ঘরে সব সময় থাকে। আমাদের ঘরে থাকা উপাদান দিয়ে আমরা চাইলেই নিজেদের অনেক সুন্দর করে তুলতে পারে।

আমরা ঘরে বাইরে নিত্য রকম কাজে ব্যস্ত থাকায় নিজেদের ত্বকের তেমন কোন পরিচর্যা করতে পারি না। শত ব্যস্ততার মধ্যেও সময়ের বের করে আমাদের নিজেদের যত্ন নেওয়া উচিত। আমাদের হাতে কম সময় থাকে  বিধায় আমরা কষ্ট করতে চাইনা আর তাই কম সময়ে কাজ করতে এমন প্রোডাক্ট খুঁজি। আর তাই বাজারে থাকা কসমে উত্তম পন্থা হিসেবে। কিন্তু বাজারের এই ক্রিম বা লোশন ও সাবান আমাদের শরীরে অনেক ক্ষতি করে ।

পেজ সূচিপত্রঃ 

স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে আমরা অনায়াসে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারি ঘরোয়া উপায়ে ত্বক ফর্সা করতে যেসব উপকরণ প্রয়োজন তা আমাদের মা খালা নানী দাদুদের হেসেল ঘরেই থাকে আর সেগুলো ব্যবহার করে আপনারা চাইলে নিজেদের ত্বকে স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে পারেন। 

স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার প্রাকৃতিক উপায়

স্থায়ীভাবে ত্বককে ফর্সা করতে আমরা প্রাকৃতিক উপায় কে বেছে নিতে পারি। প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক ফর্সা হলে আমাদের ত্বকের কোন ক্ষতি হবে না। ত্বক সুস্থ, সুন্দর ও মসৃণ নরম থাকবে। প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা করতে আমরা যা যা ব্যবহার করব তা হলঃ

মধু ও টমেটোঃ ত্বককে সুন্দর মসৃণ ও ফর্সা করতে মধু ও টমেটো দিয়ে স্ক্রাবিং করতে পারেন।

শসা ও মধুঃ শসা মধু দিয়ে ত্বক স্ক্রাবিং করে ফর্সা হওয়া যায় । 

বেসনঃ ত্বক ফর্সা করতে বেসনের ভূমিকা অপরিসীম। আমরা চাইলে বাজারে উপটান ব্যবহার না করে ঘরে বসে নিজে নিজে উপটান তৈরি করতে পারি। এই উপটান তৈরি করতে যা যা প্রয়োজন তা হল বেসন , অ্যালোভেরা , মধু, কাঁচা, দুধ , আলু বা শসার রস ও লেবুর রস এ ছাড়া টকদইও ব্যবহার করতে পারি এ সকল উপাদান একসাথে ব্যবহার করে উপটান তৈরি করে ত্বকে লাগালে এক মাসের মধ্যে আপনার ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা হবে ।  

আরো পড়ুনঃ  চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়।

মসুর ডাল ও বেসনঃ আমাদের ঘরে থাকা মসুর ডাল ও বেসন সাথে কাচা দুধ ও মধু দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দেন তারপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন । এরপর নরম কাপড় দিয়ে ত্বক মুছে ফেলুন এভাবে ১৫ থেকে ৩০ দিন ব্যবহার করুন ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা হবে 

কোন খাবার খেলে ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা হয় 

স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করতে হলে শুধু ত্বকের উপরিভাগে ঘরে তৈরি উপটান এলোভেরা মধু , শসা , আলু , কাঁচা দুধ , টমেটো ইত্যাদি ব্যবহার করলেই হবে না শরীরের অভ্যন্তরেও কিছু খাদ্য প্রয়োজন। যে খাদ্যগুলো খেলে আমাদের ত্বক সুন্দর থাকবে ও স্থায়ীভাবে ফর্সা হবে কি সেই খাদ্য তালিকাগুলো আসুন জেনে নেওয়া যাক। 

লেবুঃ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হালকা কুসুম গরম পানির সাথে লেবুর রস খান তাতে ত্বক উজ্জ্বল হবে।

কমলালেবুঃ প্রতিদিন চেষ্টা করুন দুই থেকে তিনটা কমলা লেবু খেতে কারণ ত্বকের জন্য টক জাতীয় ফল খাওয়া ভালো টক খেলে ত্বক ফর্সা হয়। 

পানিঃ আপনারা তো সবাই জানেন পানির অপর নাম জীবন আর তাই এই পানি আমাদের ত্বকে হেলদি রাখে লিভার কে সুস্থ রাখে।

ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে কোন সবজি খাবেন 

স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করতে বাজারে অনেক ধরনের সবজি পাওয়া যায় আপনারা চেষ্টা করবেন যেন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ত্বক ভালো রাখে এমন সবজি রাখা যায় যে সবজিগুলো রাখবেন তা হলঃ

গাজরঃ শীতকালে আমাদের ত্বক অনেক শুষ্ক থাকে আর তাই বেশি বেশি করে গাজর খান শীতকালে প্রচুর গাঁজর পাওয়া যায়। 

টমেটোঃ শীতকালে বাজারে প্রচুর টমেটো পাওয়া যায় এটা খাওয়ার অভ্যাস করুন ত্বক ফর্সা হবে হেলদি হবে ।

আরো পড়ুনঃ অ্যালোভেরার ব্যবহার।

শসাঃ শসা খেলে শরীরের ফ্যাট কমে ত্বক হেলদি হয় খাবার হজমের সহায়তা করে।

ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা করার পুষ্টিকর খাবার 

যদিও আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন রয়েছে পুষ্টিকর খাবার ব্যতীত ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা করা সম্ভব নয় শুধু বাইরের ওপরের চামড়া কয়েক শেড উজ্জ্বল হলে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না । যদি না শরীরের ভেতরে থেকে পুষ্টিকর খাবার দ্বারা শরীর হেলদি না হয়। আসুন আমরা জানি সেই পুষ্টিকর খাবার গুলি কি কি?  

দুধঃ দুধ আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়ামের কাজ করে আমাদের শরীরের হাড় মজবুত করতে ও ত্বককে ভেতর থেকে গ্লো করতে দুধ অনেক কার্যকরী পুষ্টিকর খাবার

কলাঃ কলা ত্বক ফর্সা করার একটি বিশেষ উপাদান কলা খেলে রাতের ঘুম ভালো হয়। 

দুই ও ঘিঃদইয়ে  থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড দ্বারা শরীরের বা ত্বকে থাকা ভাইরাস সরে যায় তাই দই ও ঘি খেলে ত্বক ফর্সা হয়। 

খেজুরঃ ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী দেখা যায় যে শসার সাথে খেজুর খেলে ত্বক প্রচুর পরিমাণে ফর্সা হয় এটা শুধু ডাক্তারের কথা নয় আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর কথা যে তোমরা যদি নিজেদের শরীল হেলদি ও ফর্সা করতে চাও তাহলে শসার সাথে খেজুর খাও।

বাদামঃ বাজারে বেশ কয়েক ধরনের বাদাম পাওয়া যায় এই বাদাম খেলে  শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয় আবার ত্বককে ফর্সা করতেও ভূমিকা রাখে। 

কিসমিসঃ কিসমিস কিভাবে খেলে মূলত ত্বক ফর্সা করতে কাজ করবে আমরা তো সঠিকভাবে জানে না আসুন না এর সঠিক ব্যবহার জানি কিসমিস আমরা রাতে এক গ্লাস পানির সাথে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেতে পারি। আবার শোবার আগেও খেয়ে ঘুমাতে পারি ।

ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে কোন ভিটামিনের প্রয়োজন  

স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে যে সকল ভিটামিন গুলো প্রয়োজন তা দেওয়া হলঃ

ভিটামিন বিঃ দুধ , ডিম  ,শস্যজাতীয় যেমন বাজরা , বালি ইত্যাদি। 

ভিটামিন সিঃ টক জাতীয় ফলে সাধারণত ভিটামিন সি থাকে যে ফলগুলো থেকে ভিটামিন সি পাওয়া যায় যেমন লেবু , পেপে  ,স্ট্রবেরি  ,ওকিউই ইত্যাদি। 

ভিটামিন ইঃ সবজি জাতীয় খাবারের সাধারণত ভিটামিন ই থাকে যেমন বাঁধাকপি , পালং শাক , ব্রকলি , গাজর ও টমেটো ইত্যাদি।

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ায় কসমেটিকস এর প্রভাব

আমরা না জেনে শুনে ক্ষণস্থায়ী ফর্সা হওয়ার জন্য বাজারের কসমেটিক পণ্য ব্যবহার করে থাকি বাজারের বিভিন্ন কসমেটিক পণ্যে থাকে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল । এই কেমিক্যাল জাতীয় পণ্য ব্যবহার করে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের রাশ আসে । ব্রণ হয় সবথেকে বড় ধরনের ক্ষতি যেটা হয় সেটা হল ক্যান্সার ।

আরো পড়ুনঃ৭ দিনে চুল গজানোর উপায়।

বাজারের পণ্যগুলো খুব কম সময়ে ত্বককে ফর্সা করে তাই আমরা সবাই কিন্তু ওই পণ্যগুলোকেই বেছে নেই আজ আমাদের দেশে ক্যান্সারের প্রভাব বেড়েছে একমাত্র এই বাজারের পণ্যগুলোর জন্য আপনারা পারলে সকল পণ্য থেকে দূরে থাকুন আর ঘরোয়া কিছু উপকরণ দিয়ে ত্বক যত্ন নিন। 

 উপসংহার

আজকের পুরো আর্টিকেল জুড়ে আমরা জানলাম স্থায়ীভাবে ত্বক  ফর্সা হওয়ার জন্য কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে ত্বকে হেলদি ও স্বাস্থ্যকর করতে আমাদের হাতের কাছে থাকা উপকরণগুলো উত্তম । ত্বকে স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে ঘরোয়া উপকরণে জুড়ি মেলা ভার ঘরোয়া ভাবে ত্বক ফর্সা করানোতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। ঘরোয়া উপকরণে কোন কেমিক্যাল থাকে না একেবারে খাটি তাই নিশ্চিন্তে ব্যবহার করুন। 

আমার মতে কম সময়ে ত্বককে ৬ থেকে ৮ শেড ফর্সা করা ক্রিমগুলো ব্যবহার করবেন না এইসব বাজারজাত ক্রিম ব্যবহারে ত্বকে ক্যান্সার সৃষ্টি করে চামড়া পুড়ে যায়। ত্বক এক সময় আরো কালো হয়ে যায় তাই বাজারে কসমেটিক কোন ব্যবহার বন্ধ করুন । আশা করছি আজকের আর্টিকেল আপনাদের কিছু তথ্য পেতে সাহায্য করবে তাহলে অবশ্যই পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ আমার সাথে থাকার জন্য।  


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url