চুল পড়া বন্ধ করার তেল , শ্যাম্পু ও ঘরোয়া উপায়
চুল পড়া বন্ধ করার তেল , শ্যাম্পু ও ঘরোয়া উপায় নিয়ে আজ আমরা কথা বলবো । চুল পড়াটা ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্যই খুব বড় একটা সমস্যা । আমরা চাইলেই এ থেকে মুক্তি পাই না । চুল পড়ার একটা বয়স থাকে আর সেই
সময়টা যখন এগিয়ে আসে আমরা চাইলেই এটা রোদ করতে পারিনাকিন্তু কথা হচ্ছে সেই বয়স আসার আগেই চুল পরে যায় । চুল পড়াটা এখন বয়সে নয় এটা রোগে পরিণত হয়েছে । ডাক্তারদের কথা অনুযায়ী চুল পরার অনেক গুলো কারন রয়েছে ।
আজ আমরা চুল পড়ার অনেক গুলো কারন নিয়ে আলোচনা করব । ডাক্তারদের পরার্মশ অনুযায়ী জানা যায় চুল ওঠার বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে । কি সেই বিশেষ কারণ আসুন আমরা জেনে আসি। মানব দেহে বিভিন্ন ধরনের ঘাটতির কারনে চুল ওঠার প্রবণতা এত বেড়েছে । সব থেকে বড় সমস্যা হল মানব দেহে পানি স্বল্পতা । এই পানির ঘাটতির কারণে মানব দেহ শুকিয়ে যায় আর তখনি চুল ওঠার প্রবণতা বাড়ে । পুষ্টিকর খাবারের অভাবেও চুল উঠে যায় ।
পেজ সূচিপত্র
- চুল পড়া বন্ধ করার তেল , শ্যাম্পু ও ঘরোয়া উপায়
- চুল পড়া বন্ধের জন্য তেল তৈরির উপকরণ
- চুল পড়া বন্ধের জন্য কিভাবে তেল তৈরি করব
- চুল পড়া বন্ধে শ্যাম্পু ব্যবহার
- চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
- মহিলাদের চুল পড়ার সমস্যা
- ছেলেদের চুল পড়ার সমস্যা
- চুল পড়া বন্ধ করতে ডাক্তারদের পরামর্শ
- চুল পড়া বন্ধ করতে আমাদের নানি দাদিরা যা করতেন
- শেষ কথা
চুল পড়া বন্ধ করার তেল , শ্যাম্পু ও ঘরোয়া উপায়
চুল পড়া বন্ধ করার তেল , শ্যাম্পু ও ঘরোয়া উপায় এগুলোতো অনেক কথা । আসুন একটা একটা করে এগুলো সম্পর্কে জানি। চুল পড়া বন্ধ করতে বাজারে অনেক ধরনের তেল শ্যাম্পু দেখা যায়। আমরা অনেকে এগুলো ব্যবহার করে থাকি কিন্তু এগুলোর ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সঠিক জানিনা কোনটা ব্যবহার করা উচিত আর কোনটা ব্যবহার করা উচিত নয়। আসলে আমাদের চুলে সেই জিনিসটাই ব্যবহার করা উচিত যেটা আমাদের চুলের জন্য ভালো ।
আরো পড়ুনঃ স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়।
আমরা বিভিন্ন বিজ্ঞাপন থেকে দেখতে পায় চুল পড়া বন্ধের জন্য বিভিন্ন তেল
শ্যাম্পুর কথা। এই তেল শ্যাম্পু ইউজ করে আমাদের চুলের আরো বড় ধরনের ক্ষতি করে
ফেলি সেটা আমরা বুঝতে পারি না। আসলে তেল শ্যাম্পু অনেকগুলো কেমিক্যাল দ্বারা তৈরি
হওয়ায় আমাদের চুলে আরো বেশি ভালো করা জায়গায় আমরা আমাদের চুলের আরো বড় ধরনের
ক্ষতি করে ফেলি। চুল পড়া বন্ধের জন্য চেষ্টা করতে হবে আমরা ঘরেই যেন নিজেদের
তেলটা তৈরি করে নিতে পারি।
তেল তৈরি উপকরণ খুব একটা বেশি কষ্টসাধ্য নয় এগুলো হাতের কাছে সব সময় আমাদের
থাকে। আমরা চেষ্টা করব আমাদের বাড়িতে থাকা উপকরণ দিয়ে তেল তৈরি করতেন। তেল
তৈরির জন্য অবশ্যই খাঁটি নারিকেল তেল আমরা বাজার থেকে না কিনে অনেকেই নিজেদের
বাড়িতে নারিকেল দিয়ে খাঁটি তেল তৈরি করে। কিন্তু আমাদের কাছে এত সময় না থাকায়
আমরা বাজার থেকে খাঁটি ভার্জিন তেল কিনে এনে বাড়িতে তেল তৈরি করতে
পারি।
চুল পড়া বন্ধের জন্য তেল তৈরির উপকরণ
চুল পড়া বন্ধের জন্য তেল তৈরির উপকরণ যা যা লাগছে তা হল আমাদের বাড়িতে থাকা কিছু উপকরণী প্রয়োজন পড়বে আবার কিছু উপকরণ যা বাজার থেকে সংগ্রহ করতে হবে যেমন-
মেথিঃ মেথি গুঁড়া আমরা গোটা মেথিও এনে ভিজিয়ে রেখে সেটাকে ব্লেন্ড করে
নিতে পারি আবার বাজার থেকে গুড়া এনেও এটা ব্যবহার করতে পারি। মেথি
গুঁড়া চুলের জন্য অনেক উপকারী এটা চুলকে পরিষ্কার করে চুলের গোড়া মজবুত
করে ও সতেজ হতে সাহায্য করে।
কালোজিরাঃ কালোজিরা চুলের জন্য এত উপকারী যে বলে শেষ করা যায় না।
আপনারা তো জানেন যে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু বলেছেন মৃত ব্যতীত সমস্ত
রোগের মহা ঔষধ হলো কালোজিরা। আর তাই আমাদের চুলের যত্নে আমরা কালোজিরা কে প্রধান
উপকরণ হিসেবে ধরে নিতে পা। কালোজিরা কে আমরা ভিজিয়ে রেখে ব্লেন্ড করে ব্যবহার
করতে পারি আবার বাজার থেকে গুড়া কিনে এনে ব্যবহার করতে পারি। চুলকে সতেজ রাখতে
কালোজিরা ভূমিকা অপরিসম।
মেহেদীঃ মেহেদী পাতা চুলকে শক্ত ও মজবুত করে। মেহেদী পাতার রস চুলের জন্য অনেক উপকারী। তেল তৈরির জন্য আমরা মেহেদি পাতাকে ব্যবহার করতে পারি।
জবা ফুলঃ জবা ফুল চুলকে কালো করতে ও চুলকে লম্বা ঘন করতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরাঃ এলোভেরা চুলের জন্য অনেক উপকারী মাথাকে ঠান্ডা রাখতে
অ্যালোভেরার ঝুড়ি মেলা হয়। অ্যালোভেরা মাথায় দিয়ে মেসেজ করলে চুলের গোড়া
মজবুত হয় চুল ঝরে পড়ে কম।
আরো পড়ুনঃ ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে কোন সবজি খাবেন।
নারিকেল তেলঃ বাজার থেকে খাঁটি ভার্জিন নারিকেল তেল নিতে হবে অথবা বাসায় নারিকেল বানিয়ে নিজে নিজেও তেল তৈরি করা যেতে পারে। কিন্তু অনেকে কাজে ব্যস্ততায় তা করা হয়ে ওঠে না বিধায় আমরা বাজার থেকে খাঁটি ভার্জিন নারিকেল তেল নিয়ে এই তেলটি তৈরি করব।
কেসশিঃ কেশসি সাধারণত বনে বাদারে পাওয়া যায় এটা বাজারে পাওয়া যাবে না তাই চেষ্টা করবেন বাড়ির আশেপাশে থাকা জঙ্গলে খুঁজে বের করতে এটি তেল তৈরিতে চুলের জন্য অনেক উপকারী।
আমলাঃ আমলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় চুলের জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। তেল তৈরির উপকরণ হিসেবেও এটি অত্যন্ত উপকারী। আমলা চুলের জন্য অনেক কাজ করে চুলকে মজবুত করে চুলকে লম্বা করে ও ঘন করতে সাহায্য করে ।
রিঠাঃ রিঠা সাধারণত আয়ুর্বেদিক দোকানের খুজে পাবেন সেখান থেকে গুড়ো এনে
তেলের মধ্যে ব্যবহার করে ব্যবহার করতে পারেনা এতে অনেক উপকার পাবেন।
শিকাকাইঃ আমলা , রিঠা , জবা ইত্যাদির মতই শিকাকায়ও অনেক উপকারী একটি
উপকরণ। এই উপকরণ দ্বারা চুলের এত উপকার যা কখনো বলে শেষ করা যাবে না। চুল অনেক
স্বাস্থ্যবান এবং হেলদি হবে এই উপকরণগুলো ব্যবহার করলে।
চুল পড়া বন্ধের জন্য কিভাবে তেল তৈরি করব
চুল পড়া বন্ধের জন্য কিভাবে তেল তৈরি করব আসুন আমরা এ সম্পর্কে জেনে নিন। আমরা অনেকেই জানি তেল কিভাবে তৈরি করতে হয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক । তেল তৈরি করতে প্রথমে আমাদের বাজার থেকে নিয়ে আসা খাঁটি ভার্জেন নারিকেল তেল প্রয়োজন পড়বেন। একটি পাত্রে পরিমাণ মতো তেল নিয়ে নিন , তারপর তাতেপ্রত্যেকটি উপকরণ পরিমাণমত দিন, উপকরণগুলো হলোঃ
আমলা, জবা, রিঠা, শিকাকায় ,কেসশি
, অ্যালোভেরা, কালোজিরা মেথি মেহেদী পাতা, বিভিন্ন ধরনের অয়েল
যেমন অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল , ইত্যাদি উপকরণ ব্যবহার করে আমরা
আমাদের ব্যবহারের তেল তৈরি করতে পারি। সবগুলো উপকরণ একটি পাত্রে দেওয়ার পর একটি
চুলায় লোহিটে 10 থেকে 15 মিনিট তেল টাকে জাল দিতে হবে তারপর যখন তেলটা কমে আসবে
একটি কাঁচের জারে ঠান্ডা করে ঢেলে রাখুন এবং এক থেকে দেড় মাস ব্যবহার
করুন।
চুল পড়া বন্ধে শ্যাম্পু ব্যবহার
চুল পড়া বন্ধ করতে ব্যবহার জানা অতি প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। বাজারে থাকা
শ্যাম্পু গুলোতে প্রচুর পরিমাণে কেমিক্যাল থাকে তা শর্তেও আমরা সেই শ্যাম্পু
গুলোই ব্যবহার করে থাকি। আমরা কি চাইলে ঘরোয়া ভাবে শ্যাম্পু তৈরি করে নিতে পারি।
অবশ্যই পারি শ্যাম্পু ঘরোয়া ভাবেও তৈরি করা যায়। ঘরোয়া ভাবে শ্যাম্পু তৈরি
করতে আমাদের যা করতে হবে আমরা অনেকেই রিঠা এবং শিকাকায় , মেথি বা আমলা কে চিনি।
এই মেথি আমলা শিকাকায় ও রিঠা দ্বারা আমরা চুলকে পরিষ্কার রাখতে পারি।
বাজারের কেমিক্যাল জাতীয় শ্যাম্পু ব্যবহার না করে আমরা ঘরে তৈরি শ্যাম্পু যেভাবে ব্যবহার করতে পারব। ঘরে তৈরি শ্যাম্পু ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন পড়বে আমলা , রিঠা ও শিকাকাই। আমলা ১০০ গ্রাম , শিকাকাই ২০০ গ্রাম , রিঠা ৩০০ গ্রাম এভাবে এক জায়গায় তিনটি উপকরণ নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে । তারপর সেটাকে প্রতিদিন মাথা পরিষ্কার করার আগের দিন রাতে এক গ্লাস পানির মধ্যে এক চামচ পরিমাণ পানিতে মেশাতে হবে।
আরো পড়ুনঃ স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা হওয়ার প্রাকৃতিক উপায়।
পরের দিন সকালে ওই পানি দিয়ে মাথা পরিষ্কার করলে চুল পরিস্কার হয়ে যাবে চুল ফুরফুরা হবে। চুল শ্যাম্পু করলে কন্ডিশনার ব্যবহার করলে যেমন চুল ফুরফুরাও সতেজ হয় ঠিক তেমনি এই উপকরণ দিয়ে মাথা পরিষ্কার করলেও চুল তেমনি ফুরফুরা ও সতেজ হবে । এভাবে আমরা ঘরোয়া উপকরণ দ্বারা চুলকে সুস্থ সতেজ রাখতে পারি। বাজারের কেমিক্যাল জাতীয় শ্যাম্পুকে এড়িয়ে চলুন চুল উঠা বন্ধ হয়ে যাবে।চু
চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
চুল পড়া বন্ধ করতেতো তেল শ্যাম্পুর ব্যবহার বিধি জানলাম । আসুন এবার জেনে আসি চুল পড়া বন্ধ করতে ঘরোয়া উপায় কি কি আছে ।ঘরোয়া উপায়ে আমরা চুল পড়া বন্ধ করতে পারি। আজ আমরা এমন কিছু ঘরোয়া উপকরণ সম্পর্কে জানব যেগুলো ব্যবহার করলে আমাদের চুল পড়া বন্ধ হবে চুল লম্বা হবে ও ঘন হবে। লম্বা করা ও ঘন হওয়ার এ যেন প্রত্যেকটা নাড়িয়ে একটু স্বপ্ন। নারীদের স্বপ্ন অপূর্ন থেকে যায় শুধুমাত্র একটি কারণে তা হলো এই চুল পড়ার সমস্যা।
ঘরোয়া উপায়ে এমন অনেক উপকরণ আছে নিচে বর্ণনা করা হলোঃ
- মেহেদি
- ডিম
- মেথি
- কালোজিরা
- আমলা
- চা পাতা
- অ্যালোভেরা
- পেঁয়াজ
- রসুন
- আদা
- তেজপাতা
- লবজ্ঞ
- জবা ফুল
- ধনেপাতা
- তেল
ওপরে বর্ণিত উপকরণগুলো দ্বারা ঘরোয়া উপায়ে তেল তৈরি করে মাথার স্কাল্পে ব্যবহার
করলে চুল পড়া বন্ধ করা যাবে চুল লম্বা ঘন ও মজবুত হবে। এগুলো শুধুমাত্র
একটি উপকরণী নয় এর উপকারী সম্পর্কেও শুধু চুলের জন্য নয় ত্বকের জন্য অনেক
কার্যকরী একটি উপাদান। এই উপাদান দ্বারা যাবতীয় তেল তৈরি করা হয় আর ঘরোয়া
উপায়েও এটি তৈরি করে নিজেরা ব্যবহার করে নিজেদের চুলকে সুন্দর করে তুলতে
পারে।
মহিলাদের চুল পড়ার সমস্যা
মহিলাদের চুল করার অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে। সমস্যা বলতে মনে পড়ে যায় কি ধরনের সমস্যা মহিলাদের সমস্যা যেমন মাথায় স্কার্ট ব্যবহার করার কারণে অনেক সময় ভেবে থাকার কারণে চুল উঠে যায়। চুলে ময়লা হওয়ার কারণে চুল উঠে যায় চুলের গোড়া নরম হয়ে যায় আগা ফেটে যায়। মহিলারা প্রেগনেন্সির সময় প্রসবকালীন সময়ের পরে বিভিন্ন ওষুধের প্রতিক্রিয়া তাদের ওপর পড়ায় শুরুটা সমস্যা দেখা দেয়। আবার আদিকালের মানুষের কথা অনুযায়ী বলা হয়
বাচ্চা যখন হাসতে শুরু করে মায়ের নাকি তখন চুল উঠতে শুরু করে
দেয়। মহিলারা একটা বাচ্চা মানুষ করতে পর্যাপ্ত ঘুম না ঘুমানোর কারণে নিজের
পরিচর্যা না করার কারণে এই চুল ওঠার সমস্যাটা বেড়ে যায়। চুল ওঠা
সমস্যা দূর করার আরো একটি সমাধান হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম একজন মানুষকে প্রতিদিন
নিয়মিত আট ঘণ্ট আট ঘন্টা ঘুমানো উচিত। পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম শরীরে ব্রীজটা মেনে
যায়। প্রতিদিন নিয়মিত গোসল করা উচ... মাথায় প্রতিদিন গোসলের আগে তেল দিয়ে
গোসল করা উচিত
মাথা ময়লা থাকার কারণে অনেক সময় চুল উঠে যায় চুলকে অন্তত সপ্তাহে দুই থেকে
তিনবার পরিষ্কার করা উচিত এতে চুল উঠার সমস্যা দূর হবে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি সেবন
করতে হবে শরীরের পানির অভাবে অনেক সময় সুখ সমস্যা শুরু হয় মহিলারা পর্যাপ্ত
পরিমাণ খাবার না খাওয়ায় চুল ওঠার সমস্যা হয় পর্যাপ্ত খাবার মানে শুধু ভাত বা
রুটি নয় আয়রন প্রোটিন ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারই কেবল চুল ওঠা সমস্যা দূর করতে
পারে ঘরোয়া তেল ব্যবহার করে চুল ওঠা সমস্যা দূর করা সম্ভব নয়।
আইরন প্রোটিন যুক্ত ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার যেমন কচু শাক , পালং শাক , কচু ,
ঢেঁড়্ কলা কাঁচা কলা পাকা কলা ধনিয়া পাতা লাল শাক কলার মোচা বাদাল
ডুমুর ইত্যাদি আয়রন প্রোটিন ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেলে চুল উঠা সমস্যা
অনেকটা দূর হয়ে যাবে।
ছেলেদের চুল পড়ার সমস্যা
ছেলেদের চুল পড়ার সমস্যা অনেকটাই অন্যরকম ছেলেরা চুলের সেভাবে যত্ন না নেওয়ার কারণে চুল উঠায় সমস্যাটা দেখালে। বিভিন্ন খাবার সমস্যার কারণেও চুল উঠে পানি না খাওয়ার কারণে চুল উঠে যায়। চুল উঠা সমস্যা দূর করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির প্রয়োজন। একজন সুস্থ মানুষকে প্রতিদিন নিয়মিত তিন থেকে চার লিটার পানি খাওয়া প্রয়োজন। এতে শরীর সুস্থ থাকে প্রয়োজনীয় প্রোটিন ক্যালসিয়াম পাওয়ায় চুলও হেলদি থাকে।
কিন্তু ছেলেরা সেই পরিমাণ পানি না খাওয়ায় স্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়ায়
তাদের পরিশ্রমের তুলনায় তাদের পর্যাপ্ত শরীরে খাবার না আসায় এই চুল ওঠার
প্রবণতা বাড়ে। আবার বয়সের কারণেও এই চুল ওঠা বেড়ে যায়। মেয়েদের তুলনায়
ছেলেদের চুলটাও কিন্তু কম নয় চুল উঠার সমস্যা ছেলে মেয়ে উভয়কে কাঁদিয়ে
দেয়। চুল নারীর যেমন সৌন্দর্যের প্রতিক তেমনি ছেলেদেরও সৌন্দর্যের প্রতীক চুল
তাই চুলকে সুস্থ সুন্দর ও হেলদি রাখতে আমাদের ঘরোয়া উপায় কে বেছে নিতে হবে এবং
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি সেবন করতে হবে।
চুল পড়া বন্ধ করতে ডাক্তারদের পরামর্শ
চুল পড়া বন্ধ করতে ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী যা বলা হয় তা হল চুলকে হেলদি করে ও স্বাস্থ্যবান করতে ডাক্তাররা বলে থাকেন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খান। রাতে অবশ্যই ছয় থেকে আট ঘন্টা ঘুমান। আয়রন প্রোটিন ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার সেবন করুন।
নিয়মিত গোসল করুন এবং সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার মাথায় স্কাল্পকে পরিষ্কার রাখুন। এমন শ্যাম্পু বা তেল ব্যবহার করুন যেটা ব্যবহারে কোন কেমিক্যাল থাকবে না। এমন জিনিস যা ঘরোয়া ভাবে তৈরি করা যায় এমন জিনিস ব্যবহার করুন।
চুল পড়া বন্ধ করতে আমাদের নানি দাদিরা যা করতেন
চুল পড়া বন্ধ করতে আমাদের নানী-দাদীরা যা করতেন তা হলো ঘরোয়া উপায়। নানি
দাদিরা সবসময় চেষ্টা করতেন ঘরোয়া বলতে তারা বুঝতেন শুধুমাত্র তেলের
ব্যবহার আর সে সময় তেলের ব্যবহার ছিল খাঁটি তারা বিশ্বাসই ছিল না ভেজাল
বলতে কোন জিনিস হয় সেসময় খাবার তেল ইত্যাদি জিনিস সবটাই ছিল খাঁটি আর এখন
বর্তমান যুগে সবটাই হল ভেজাল যার কারণে আমরা সঠিক উপকরণটি আমাদের ত্বকের জন্য
খুঁজে পাইনা।
নানী-দাদীরা আগেকার দিনে টিউবলের পানিতে গোসল দিত না তারা আশেপাশে থাকা খাল বা পুকুরে গিয়ে গোসল করতেন নদীতে গিয়েও গোসল করতেন তারা শ্যাম্পু করার জন্য কখনো বাজারে কেমিকাল জাতীয় শ্যাম্পু ব্যবহার করত না তারা ব্যবহার করত কুকুর বা নদীর পাড়ে থাকা মাটি পরিষ্কার করতে আবার কেউ কেউ কাপড় কাচা বল সাবান দ্বারা পরিষ্কার করতেন আর খাবারের জন্য
খেতেন বাড়িতে তৈরি করা খাবার যেমন লাউ কচু শাক ওম রা কলার মোচা কাঁচা কলা
পালং শাক ঢেঁড়স বেগুন টমেটো শসা ইত্যাদি জাতীয় খাবার তারা বাড়িতে চুরি করতেন
এবং সেই খামারে তারা ব্যবহার করতেন যাতে প্রচুর পরিমাণে আয়র ন ডাক্তারের পরামর্শ
অনুযায়ী কখনোই চলতে হতো না
শেষ কথা
চুল পড়া বন্ধ করার তেল শ্যাম্পু যাই বলেন ঘরোয়া উপায়ে জুরি মেলা ভার। আমাদের ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর ও হেলদি রাখতে রাখতে পর্যাপ্ত পরিমান যেমন পানির প্রয়োজন তেমনি খাবারের প্রয়োজন। আবার ঘরোয়া উপায়ে তেল তৈরি করে শ্যাম্পু তৈরি করে মাথায় ব্যবহার করলে আমাদের চুল সুন্দর করবে অন্যদিকে বাজারে কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্টগুলো আমরা এড়িয়ে চলতে পারব।
আমার মতে বাজারে কেমিক্যাল জাতীয় প্রোডাক্ট গুলো এড়িয়ে চলা উচিত আমাদের চুলকে
সুস্থ সুন্দর রাখতে হলে অবশ্যই ঘরোয়া উপায়ে অবলম্বন করে তেল তৈরি করে ব্যবহার
করা উচিত। আজকের আর্টিকেল পড়ে যদি আপনাদের কোন কাজে আসে আমার ভালো লাগবে। আশা
করছি এই আর্টিকেল থেকে আমি আপনাদের কাছে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরতে পেরেছ।
যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের প্রিয়জনদের কাছে শেয়ার
করবেন এবং আমার ওয়েবসাইটের পেজটিকে ফলো করবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url